প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করুন সহজ উপায়ে 2024
আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চাচ্ছেন? তাহলে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম, আবেদনের শর্তাবলী এবং প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন।
এখন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করা খুবই সহজ। আবেদন যাচাইয়ের পর, ভাতা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তাই প্রতিবন্ধী ভাতা এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে G2P সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণের জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও যাচাই করার ব্যবস্থা করেছে এবং প্রতিবন্ধী ভাতা মোবাইল ফোনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
অনেকে ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম না জানার কারণে আবেদন করেন না। তাই আমি আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড তৈরির নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি।
আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর সুবিধাভোগী হিসেবে নির্বাচিত হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা পাওয়া যাবে।
মাঝেমধ্যে প্রযুক্তিগত কারণে বা সিস্টেম আপডেটের কারণে অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইট ডাউন হতে পারে। “সিস্টেম উন্নয়নের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত” ওয়েবসাইটে এই ওয়ার্নিং টি দেখা যেতে পারে।
আবার একটি নির্দিষ্ট আবেদন সময় আছে। নতুন আবেদন গৃহীত হলেই ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।
সমাজসেবা বিভাগের প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে নিচে দেওয়া হল।
# ধাপ 1: সমাজসেবা ভাতা আবেদনের ওয়েবসাইট mis.bhata.gov.bd/onlineApplication লিংকে ক্লিক করে গুগল ক্রোম থেকে এই সাইটে যান। নিচের ছবির মত একটি পেজ খুলবে। এখানে আমি বুঝতে পারছি, পরবর্তী ধাপে যান এই লেখা টিক সাইডে বোতামে ক্লিক করুন।
# ধাপ 2: প্রথম বক্সে আবেদনকারীর NID কার্ড নম্বর লিখুন এবং দ্বিতীয় বক্সে তার জন্ম তারিখ নির্বাচন করুন। তারপর 'যাচাই করুন' বাটনে ক্লিক করুন।
# ধাপ 3: NID কার্ড থেকে ছবি সহ আবেদনকারীর কিছু বিবরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করা হবে। এখান থেকে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঠিকভাবে পূরণ না হওয়া তথ্যগুলি পূরণ করুন।
# ধাপ 4: এই ধাপে আবেদনকারী সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দিতে হবে। তথ্যগুলো হল:
# ধাপ 5: এই ধাপে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। আবেদনের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, মোবাইল নম্বর কার , ইমেল (যদি থাকে) নির্বাচন করুন।
সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে সব তথ্য যাচাই করে দেখুন তথ্যে কোনো ভুল আছে কি না। সবকিছু ঠিক থাকলে সেভ বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদন জমা দিন।
# ধাপ 7: তারপর মুদ্রিত ফর্মের নির্দিষ্ট অংশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সমাজসেবা মাঠকর্মী বা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিন।
এছাড়াও একজন ব্যক্তি একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না। অন্যথায় আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
ওই নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরদের স্বাক্ষরসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে জানলেন প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম। প্রতিবন্ধী ভাতা বিষয়ে আপনার কোন মতামত গেলে কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
এখন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করা খুবই সহজ। আবেদন যাচাইয়ের পর, ভাতা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তাই প্রতিবন্ধী ভাতা এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে G2P সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণের জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও যাচাই করার ব্যবস্থা করেছে এবং প্রতিবন্ধী ভাতা মোবাইল ফোনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
অনেকে ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম না জানার কারণে আবেদন করেন না। তাই আমি আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড তৈরির নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি।
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার যোগ্যতা
- সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, 2013 অনুযায়ী, নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র অবশ্যই সমাজসেবা অফিস থেকে পেতে হবে;
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে যে জেলায় তিনি স্থায়ী বাসিন্দা সেই জেলা থেকে নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র নিতে হবে;
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় 36,000 (ছত্রিশ হাজার) এর বেশি নয় তারা আবেদন করতে পারবেন;
- আবেদনকারী অবশ্যই দুঃস্থ প্রতিবন্ধী হতে হবে;
- ৬ (ছয়) বছরের বেশি সব ধরনের অক্ষমতা ভাতা প্রদানের জন্য বিবেচিত হবে;
- বাছাই কমিটি দ্বারা নির্বাচিত হতে হবে;
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার অযোগ্যতা
- সরকারী কর্মচারী বা পেনশনভোগী সরকারী কর্মচারী হলে;
- অন্য কোনো উপায়ে নিয়মিত সরকারি অনুদান পেলে;
- যদি নিয়মিত কোন বেসরকারী সংস্থা/সমাজ কল্যাণ সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান পান;
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে উপরের যোগ্যতা এবং শর্ত পূরণ করেন তবে অনলাইনে আবেদন করুন। অনলাইনে যথাযথভাবে আবেদন করার পর আবেদনের প্রিন্টেড কপি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর সুবিধাভোগী হিসেবে নির্বাচিত হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা পাওয়া যাবে।
অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে
অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:- জাতীয় পরিচয়পত্র (18 বছরের বেশি)/ জন্ম নিবন্ধন (18 বছরের কম হলে)
- প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র (সুবর্ণ নাগরিক কার্ড)
- 1টি সচল মোবাইল নম্বর (নগদ/বিকাশ সহ)
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন,- সমাজসেবা বিভাগের ভাতা আবেদনের ওয়েবসাইটে যান এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনপত্র পূরণ করুন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন এবং সুবর্ন সিটিজেন কার্ড দিয়ে আবেদন করার পর, প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনপত্র ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করুন।
- স্থানীয় চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সমাজসেবা মাঠকর্মী বা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিন।
মাঝেমধ্যে প্রযুক্তিগত কারণে বা সিস্টেম আপডেটের কারণে অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইট ডাউন হতে পারে। “সিস্টেম উন্নয়নের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত” ওয়েবসাইটে এই ওয়ার্নিং টি দেখা যেতে পারে।
আবার একটি নির্দিষ্ট আবেদন সময় আছে। নতুন আবেদন গৃহীত হলেই ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।
সমাজসেবা বিভাগের প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে নিচে দেওয়া হল।
# ধাপ 1: সমাজসেবা ভাতা আবেদনের ওয়েবসাইট mis.bhata.gov.bd/onlineApplication লিংকে ক্লিক করে গুগল ক্রোম থেকে এই সাইটে যান। নিচের ছবির মত একটি পেজ খুলবে। এখানে আমি বুঝতে পারছি, পরবর্তী ধাপে যান এই লেখা টিক সাইডে বোতামে ক্লিক করুন।
# ধাপ 2: প্রথম বক্সে আবেদনকারীর NID কার্ড নম্বর লিখুন এবং দ্বিতীয় বক্সে তার জন্ম তারিখ নির্বাচন করুন। তারপর 'যাচাই করুন' বাটনে ক্লিক করুন।
# ধাপ 3: NID কার্ড থেকে ছবি সহ আবেদনকারীর কিছু বিবরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করা হবে। এখান থেকে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঠিকভাবে পূরণ না হওয়া তথ্যগুলি পূরণ করুন।
- বৈবাহিক অবস্থা
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পরিবারের সদস্য সংখ্যা (পুরুষ, মহিলা এবং ট্রান্সজেন্ডার)
- পেশা
- বার্ষিক আয়
- স্বাস্থ্য বা কর্মক্ষমতা তথ্য
- সরকারি বা বেসরকারি আর্থিক সুবিধার তথ্য
- বাসস্থান তথ্য
- জমির পরিমাণ
- ডিআইএস অনুযায়ী প্রতিবন্ধীর ধরণ
- ডিআইএস অনুযায়ী প্রতিবন্ধীর মাত্রা
# ধাপ 5: এই ধাপে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। আবেদনের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, মোবাইল নম্বর কার , ইমেল (যদি থাকে) নির্বাচন করুন।
সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে সব তথ্য যাচাই করে দেখুন তথ্যে কোনো ভুল আছে কি না। সবকিছু ঠিক থাকলে সেভ বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদন জমা দিন।
উল্লেখ্য, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর কোনো তথ্য পরিবর্তন করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
# ধাপ 6: একবার আবেদন জমা দিলে, আপনি প্রিন্ট করার বিকল্প পাবেন। এখানে প্রিন্ট বোতামে ক্লিক করে প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনটি PDF ফাইলে ডাউনলোড করুন।
আপনার নিজের প্রিন্টার না থাকলে, এলাকার যেকোনো কম্পিউটার পরিষেবার দোকান থেকে ফর্মটি প্রিন্ট করুন।
# ধাপ 6: একবার আবেদন জমা দিলে, আপনি প্রিন্ট করার বিকল্প পাবেন। এখানে প্রিন্ট বোতামে ক্লিক করে প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনটি PDF ফাইলে ডাউনলোড করুন।
আপনার নিজের প্রিন্টার না থাকলে, এলাকার যেকোনো কম্পিউটার পরিষেবার দোকান থেকে ফর্মটি প্রিন্ট করুন।
# ধাপ 7: তারপর মুদ্রিত ফর্মের নির্দিষ্ট অংশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সমাজসেবা মাঠকর্মী বা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিন।
প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা
আগে প্রতিবন্ধী ভাতা ছিল 750 টাকা। কিন্তু এ বছর তা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। যা প্রতি মাসে বিকাশ, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনের শর্তাবলী
যারা ইতিমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও বিবাহিত মহিলা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ভাতা, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ভাতা, বৈদিক সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ভাতা, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা বেদে সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ভাতা পাচ্ছেন, চা শ্রমিকদের জীবিকা উন্নয়ন ভাতা পাচ্ছেন তাদের পুনরায় আবেদন করার দরকার নেই।এছাড়াও একজন ব্যক্তি একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না। অন্যথায় আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরো জানুন
উপসংহার
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন যখন খুশি করা যাবে না। সাধারণত আগস্টের শুরুতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়। তাই সচেতন থাকুন যখন প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন গৃহীত হচ্ছে।ওই নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে চেয়ারম্যান বা পৌর কাউন্সিলরদের স্বাক্ষরসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে জানলেন প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম। প্রতিবন্ধী ভাতা বিষয়ে আপনার কোন মতামত গেলে কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।