অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২ - anyupay.com

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২

আমরা দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য প্রায় সকলেই গাড়ি বা অন্যান্য মোটরযান ব্যবহার করি। লাইসেন্স বিহীন যেকোনো মোটরযান চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ তাই চালক হিসেবে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে ভালোভাবে ড্রাইভিং শেখার কোন বিকল্প নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার সেই দক্ষতারই পরিচয় দিয়ে থাকে।  অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে সহজে ও নির্ভুলভাবে করা যায় সে বিষয়েই থাকছে আজকের এই লেখাটি।  

driving-license-apply-bd

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে বুঝায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী সড়কে বা সর্ব সাধারণের ব্যবহার্য জায়গায় গাড়ি চালানোর অনুমতি পত্র ।আমরা যখন কেউ গাড়ি চালাই তখন রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষসহ অন্যান্য কিছু থাকে। তাই গাড়ি ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সঠিকভাবে গাড়ির চালানোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। এক কথায়, গড়ি চালনার দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন

ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন?

ড্রাইভিং লাইসেন্স কীভাবে করতে হয় অনেকেই তা জানেন না। বি.আরটি.এর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোর প্রক্রিয়াটি । আর যারা নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য পোস্টটি উপকারে আসবে। এবং তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক ইনফরমেটিভ হতে চলেছে এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে আশা করি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন আপনারই উপকার হবে। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তাঃ

আমরা কখনো যাত্রী হিসেবে আবার কখনো চালক হিসেবে গাড়ি বা অন্যান্য মোটরযান ব্যবহার করি আমরা যদিও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করা একটি বেশ সময়সাপেক্ষ ও কিছু ক্ষেত্রে জটিল একটি প্রক্রিয়া তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স একজন গাড়ি চালকের অপরিহার্য সঙ্গী আপনাকে জানিয়ে রাখি পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতিত গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ তাই যেকোনো সময়ই যেকোনো কারণে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ বা যেকোনো আইন রক্ষাকারী বাহিনী আপনার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তাই এসময় প্রথমেই আপনার কাছে 

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হবে এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স সবসময়ই সাথে রাখতে হয় বলে এটি অনেক সময় নিজের পরিচয় অন্য কারো কাছে নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা যায়। আবার  কোন দুর্ঘটনার পর আপনার পরিচয় জানার কাজেও এটি প্রয়োজন হতে পারে।  এছাড়া  ব্যাংক একাউন্ট খুলতে, বিদেশ ভ্রমণে বা কারো কাছে নিজের বয়স নিশ্চিত করতেও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করা যায়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের জানা উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত গুলো কারণ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যা কেউ পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না

শর্তগুলো হলোঃ 

  1. শারীরিক সুস্থতাঃ একজন সুস্থ মানুষ সুস্থভাবে গাড়ি চালাতে সক্ষম। অসুস্থ মানুষের দ্বারা গাড়ি যে কোন সময় নিজের ক্ষতি ছাড়া অন্যের ক্ষতিসাধন করতে পারে তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।

  2. বয়সঃ  অল্প বয়সের চালক যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করতে উপস্থিত বুদ্ধি বয়স অনুপাতে কম হয়ে থাকে তাই সাধারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে  আপনার বয়স নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে। এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনার বয়স ২১ বছর হতে হবে।

  3. লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্সঃ আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার আগে আবেদনকারীকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

  4. শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ  ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে খুব একটা বেশি শিক্ষিত হতে হবে সেটার জন্য বাধ্যবাধকতা নেই তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীর নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ থাকতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রকারভেদ

বাংলাদেশের যে কয় ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হল যা ব্যবহার  প্রয়োজন ভেদে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কিছু প্রকারভেদ নিম্নে দেওয়া হলঃ
  1. লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স
  2. স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স
  3. আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স

আপনাকে জানিয়ে রাখি এই তিন ধরনের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শর্তাবলী নিচে প্রত্যেক ধরনের লাইসেন্স ও তা পাওয়ার শর্তাবলী আলোচনা করা হল।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। পেতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আগে করে নিতে হবে। আর  এটি মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ নেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। আপনাকে এই লাইসেন্সটি ব্যবহার করে, প্রশিক্ষণ নেওয়া পর বা সম্পূর্ণভাবে  ড্রাইভিং শিখে ফেললে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া বেশ সহজ একটি কাজ। এখানে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি উল্লেখ করছি।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বর্তমানে আপনাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে  যা   
  • প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পুরন করতে হবে
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • আবেদনকারীর পরিচয়পত্র অথবা এনআইডি কার্ড অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
  •  আবেদনকারী যে বাসায় স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছে তার চলতি মাসের আগের এক মাসের বিদ্যুত বিল কপি বা অন্য কোন ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি 
পূর্ববর্তী ড্রাইভিং লাইসেন্স ও শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে) এর তথ্যাদি এটি শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আবেদন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
  • মোটরযান নির্ধারিত ফি বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে পরিশোধ এর রশিদ।
  •  লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম
  • লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম। সূত্রঃ বিআরটিএ

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

আবেদনকারীর উপরে উল্লিখিত যে কাগজপত্র সংগ্রহ করা শেষ হলে আপনি লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার কাজ শুরু করতে পারবেন। লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এ আবেদন করার জন্য  

ধাপসমূহঃ
  1. ধাপ-১: আবেদনকারীর বিআরটিএ থেকে সংগ্রহ করা বা ডাউনলোড করা ফরমটির প্রথম পৃষ্ঠা নিজে পূরন করতে হবে 
  2.  ধাপ-২: আবেদনকারীকে ফরমের দ্বিতীয় পৃষ্ঠাটি একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট হিসেবে দেয়া হয়েছে সেই পৃষ্ঠাটি কোন রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক পূরণ করান এবং তার স্বাক্ষর  নিতে হবে

  3. ধাপ-৩: আবেদনকারীর ফরমের সাথে নির্ধারিত ব্যাংকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পরিশোধ করা ফি এর রশিদ, এনআইডি (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের ফটোকপি, ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি যুক্ত করুন।

  4. ধাপ-৪: আবেদনকারীকে ফরমটি বিআরটিএ অফিসে জমা  দিতে হবে।

  5. ধাপ-৫: আবেদনকারীর ফরমের সবকিছু ঠিক থাকলে আবেদনকারীকে  লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার জন্য একটি তারিখ দেয়া হবে তারিখটি জমা দেয়ার( ১-২)দিনের মধ্যেই আপনাকে দেয়া  হবে - ঐ নির্দিষ্ট তারিখে বিআরটিএ এর অফিসে উপস্থিত হয়ে রিসিপশন বুথ থেকে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফরমটি সংগ্রহ  করতে হবে

  6. ধাপ-৬: আবেদনকারীর ফরম ও লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহের পর বিআরটিএ এর নির্দিষ্ট -কক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সেগুলো স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হবে।

  7. ধাপ-৭: আবেদনকারীকে ফরমটি আবার রিসিপশন বুথে জমা  দিতে হবে এবং লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সাথে করে নিয়ে জেতে হবে আপনি এই লাইসেন্সটি ব্যবহার করেই ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর মেয়াদ ৩ মাস। ৩ মাস পর আপনি লাইসেন্সটি ব্যবহার করতে পারবেন না।

ড্রাইভিং লাইসেন্স  সম্পর্কে আরো জানতে

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে আবেদনকারীর বা আপনার মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মূল- ড্রাইভিং লাইসেন্স উত্তোলন এর কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন  এটি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স নামে পরিচিত এই স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে আবেদনকারী পেশাদার বা অপেশাদারভাবে দেশের যেকোনো রাস্তায় আইনানুসারে তখন আপনি মোটরযান চালাতে পারবেন।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করার সময় বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
  • স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি (NID) কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  • রেজিস্টারকৃত ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন
  • নির্দিষ্ট ফি বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
  • লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর মূল কপি ও ফটোকপি
  • সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কে কারো সমস্যা থাকলে ঘুরে আসতে পারেন

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা পদ্ধতি

আবেদনকারীর লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ড্রাইভিং এর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান উল্লেখ করা থাকে তাই নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিনে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক এই তিন ধরনের পরীক্ষা দিতে হবে। সাধারণত পরীক্ষার তারিখটি লার্নার লাইসেন্স নেয়ার ২ থেকে ৩ মাস পর হয়ে থাকে।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরিক্ষা পদ্ধতি নিচে  আলোচনা করা হলঃ

  • আবেদনকারীকে   নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কলম সহ উপস্থিত হতে হবে।
  • আবেদনকারীকে প্রথমে লিখিত পরীক্ষা হবে  পরীক্ষার প্রশ্নে মূলত ড্রাইভিং ও গাড়ির রক্ষনাবেক্ষন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন থাকবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সাধারণত ২৫-৩০ মিনিট সময় দেয়া হয় পরীক্ষায় পাশ করতে নূন্যতম ৬৬% নম্বর লাগবে।
  • আবেদনকারীকে এরপর মৌখিক পরীক্ষা হবে তবে মৌখিক পরীক্ষায় রাস্তার বিভিন্ন চিহ্নের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।
  • আবেদনকারীকে সবশেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় আবেদনকারীকে  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালিয়ে দেখাতে হবে। সাধারণত এই পরীক্ষায় পার্কিং করা, জিগজ্যাগ করা চালানো, একটি নির্দিষ্ট লাইন ধরে গাড়ি চালানো সহ আরো কিছু ড্রাইভিং-এর দক্ষতা দেখাতে হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

নিচের সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে আবেদনকারীর উপরে উল্লেখিত পরীক্ষা সমূহে উত্তীর্ণ হলে আবেদনকারী  স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন 
  1. ধাপ-১:আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট ফরমটি পূরণ করতে হবে ফরম পূরণের ক্ষেত্রে সকল ইংরেজি অক্ষর বড় হাতের দিন  যে সকল পয়েন্ট আবেদনকারী  জন্য নয় সেগুলো খালি রাখুন 
  2. ধাপ-২: আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের সাথে যুক্ত  করতে হবে
  3. ধাপ-৩:আবেদনকারীকে পরীক্ষায় পাশের রেজাল্ট আসার পর কাগজপত্র সহ ফরমটি বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে  রেজাল্ট টি বিআরটিএ অফিসে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে 
  4. ধাপ-৪:আবেদনকারী ফরমটি জমা দিলে তারা ফরমটি গ্রহণ করে একটি প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ দিবে এবং রশিদে আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি নেয়ার তারিখ দেয়া থাকবে সাধারণত তারিখটি ফরম জমা দেয়ার তারিখের ১ মাস পর হয়ে থাকে।
  5. ধাপ-৫:আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি নেয়ার তারিখে প্রাপ্তি স্বীকার রশিদটি নিয়ে বিআরটিএ অফিসে চলে জেতে হবে সেখান থেকে প্রথমে টোকেন সংগ্রহ করে টোকেনের নাম্বার অনুযায়ী ভিতরে প্রবেশ করতে হবে
  6. ধাপ-৬:আবেদনকারীকে বা আপনাকে ভিতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে আপনার তথ্য দিন এরপর তথ্যগুলো পরীক্ষা করে দেখুন 
  7. ধাপ-৭: তথ্যগুলো ঠিক থাকলে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্যাদি প্রদান করুন এবং বায়োমেট্রিক তথ্যাদি হিসাবে এখানে আপনার ছবি-আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর গ্রহণ করা হবে
  8. ধাপ-৮: বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণ করে আপনাকে একটি কাগজ দেয়া হবে যেখানে স্মার্টকার্ড লাইসেন্স দেয়ার তারিখ লেখা থাকবে।
  9. ধাপ-৯: তারপর নির্দিষ্ট তারিখে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সটি গ্রহণ করুন। নির্ধারিত তারিখের আগেই কখনো কখনো লাইসেন্স তৈরী হয়ে যেতে পারে  সেজন্য  আপনার মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।
  10. ধাপ-১০:আবেদনকারীর  ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে যাওয়ার এসএমএস পেয়ে গেলে এসএমএস এর তারিখ ও এসএমএস এ উল্লেখিত ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার এবং প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ সহ বিআরটিএ অফিসে উপস্থিত  হতে হবে।
  11. ধাপ-১১: এবার নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স

আবেদনকারীকে বি-আর-টিএ থেকে সাধারণ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে আবেদনকারী সেটি ব্যবহার করে দেশের ভেতরের যেকোনো রাস্তায় মোটরযান চালাতে পারবেন কিন্তু এই ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেশের বাইরে ব্যবহার করতে পারবেন না কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ থেকে আলাদা ভাবে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করার পদ্ধতি রয়েছে  যে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেশের বাইরেও একইভাবে কার্যকর।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে নির্ধারিত কিছু ধাপ পূরণ করতে হবে। ধাপগুলো হলো:  

  1. আবেদনকারীকে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ  করতে হবে।
  2. আবেদনকারীকে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে হবে।
  3. ফরমটি পূরণ  করতে হবে।
  4. আবেদনকারী  ফরমের সাথে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর সত্যায়িত ফটোকপি, ১ কপি পাসপোর্ট ও ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি এবং পাসপোর্টের ১ থেকে ৪ নং পাতার ফটোকপি যুক্ত  করতে হবে।
  5. এরপর আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অফিসে ফরম ও কাগজপত্র জমা দিন 
  6. আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অফিসে ফি জমা দিয়ে একটি রশিদ গ্রহণ করুন 
  7. রশিদে উল্লেখিত তারিখে অফিস থেকে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন 

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ১৮ বছরের উপরে যে কেউ তৈরী করতে পারলেও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আবেদনকারী বয়স ২০ বছর বা তারও বেশী হতে হবে কারণ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আবেদনকারী  ভারী যানবাহন চালাতে পারবেন না  এমনকি সাধারণ হালকা যানবাহন চালানোর চাকরিও আপনি করতে পারবেন না  তাই অনেকের জন্যই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়ে থাকে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর প্রকারভেদ

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ৩ ধরনের হয়ে থাকেঃ
  1. পেশাদার হালকা
  2. পেশাদার মধ্যম
  3. পেশাদার ভারী
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই তিন ধরনের লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

পেশাদার হালকা

পেশাদার হালকা এধরণের পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে আবেদনকারী ২৫০০ কেজি এর কম ওজনের যানবাহন পেশাদারভাবে চালাতে পারবেন। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স নূন্যতম ২০ বছর হতে হবে।

পেশাদার মধ্যম

পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স এধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে আবেদনকারী  ২৫০০ কেজি থেকে ৬৫০০ কেজি এর মধ্যে ওজন যুক্ত যানবাহন পেশাদারভাবে চালাতে পারবেন  এধরণের পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স  পেতে হলে আবেদনকারীর  বয়স নূন্যতম ২৩ বছর হতে হবে এবং একইসাথে আবেদনকারীকে পেশাদারভাবে হালকা যানবাহন চালানোর ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

পেশাদার ভারী

পেশাদার ভারী  এধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে আবেদনকারী ৬৫০০ কেজি এর বেশি ওজনের যানবাহন চালানোর অনুমতি পাবেন এধরণের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীর বয়স নূন্যতম- ২৬ বছর হতে হবে  এবং পেশাদার হালকা যানবাহন চালানোর ৩ বছরের ও পেশাদার মধ্যম যানবাহন চালানোর (তিন৩) বছরের অর্থাৎ মোট ছয় ৬ বছরের পেশাদার ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি সাধারণ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করার মতোই  শুধুমাত্র অতিরিক্ত কাজ হিসেবে এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন করিয়ে নিতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

আপনি চাইলে আপনার মোবাইল থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে আপনার লাইসেন্স-এর অবস্থা জানতে 
এ সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট রয়েছে যা আপনি দেখে আসতে পারেন আপনাদের উপকার হবে পোষ্টের লিঙ্ক অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

আপনাকে জানিয়ে রাখি সাধারণত স্মার্টকার্ড পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ হয়ে থাকে ৫ বছর  এবং স্মার্টকার্ড অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর মেয়াদ হয়ে থাকে ১০ বছর তাই এই নির্দিষ্ট সময় পরে লাইসেন্সটি আর ব্যবহারযোগ্য থাকবে না তাই মেয়াদ শেষ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা আবশ্যক তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার পদ্ধতি নিম্নে দেয়া হলোঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফরম
  2. রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট
  3. সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি
  4. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট-এর সত্যায়িত ফটোকপি
  5. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  6. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  7. নির্ধারিত ব্যাংকে নির্দিষ্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের খরচ

অপেশাদার লাইসেন্স নবায়নের খরচ নিম্নে দেওয়া হল 

১) অপেশাদার লাইসেন্স নবায়নের এর মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ২৪২৭ টাকা দিতে হবে
২) অপেশাদার লাইসেন্স নবায়নের এর মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন বা তারও পরে আবেদন করলে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২৩০ টাকা জরিমানা সহ।

পেশাদারঃ

১) লাইসেন্স-এর মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে ১৫৬৫ টাকা।
২) লাইসেন্স-এর মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন বা তারও পর আবেদন করলে প্রতি বছর ২৩০ টাকা জরিমানা সহ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন বা রিনিউ করতে নিচের ধাপসমূহ অনুসরন  করুনঃ
  1. ধাপ-১: আবেদনকারীকে প্রথমে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের পুনরায় একটি ড্রাইভিং এর ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের জন্য ধাপটি প্রযোজ্য নয়
  2. ধাপ-২: আবেদনকারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফরম পূরণ  করতে হবে
  3. ধাপ-৩: আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের সাথে যুক্ত  করতে হবে
  4. ধাপ-৪: বি-আর-টিএ ,অফিসের নির্দিষ্ট জায়গায় ফরমটি কাগজপত্র সহ জমা দিন।
  5. ধাপ-৫: কাগজপত্রে সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি প্রদান করতে হবে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি দেওয়ার জন্য বিআরটিএ অফিসের নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে ছবি, আঙুলের ছাপ, ও স্বাক্ষর ,প্রদান করুন এরপর আপনাকে আপনার ড্রাইভিং- লাইসেন্স প্রিন্ট হওয়া পর্যন্ত কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে 
  6. ধাপ-৬: আবেদনকারীর স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করা শেষ হলে, আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস আসবে সেই এসএমএস আসলে বিআরটিএ অফিস থেকে নিয়মানুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী ও উত্তরঃ

প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো 

উত্তরঃ আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা তা জানার একটি মাত্র উপায় সেটি হল মোবাইলে এসএমএস মাধ্যমে চেক করা। যা উপরে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ স্মার্টকার্ড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দেয়া নির্দিষ্ট পরীক্ষার তারিখে উপস্থিত হতে না পারলে কি করবো?

উত্তরঃ স্মার্টকার্ড লাইসেন্স-এর জন্য নির্ধারিত তারিখে বিশেষ কারণে উপস্থিত হতে না পারলে নির্দিষ্ট ব্যাংকে ৮৭ টাকা জমা দিয়ে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে হবে।

প্রশ্নঃ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় ফরমে প্রশিক্ষকের তথ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্য কোথায় পাবো

উত্তরঃ আবেদনকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ড্রাইভিং শিখে থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্য দিন। অন্যথায় আবেদনকারী চাইলে আবেদনকারী পরিচিত যে কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর নাম্বার তার অনুমতি নিয়ে ফরমে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রশ্নঃঢাকার বাইরের কোন ব্যাক্তি কি ঢাকা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে?

উত্তরঃ লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানাকেই শুধুমাত্র গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই আবেদনকারী পরিচয় কারো ঠিকানা, ও তার ইউটিলিটি বিলের কাগজপত্র ,ব্যবহার করে সেই জায়গা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রশ্নঃইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স কি বিআরটিএ-এর একই অফিস থেকে তৈরী করতে পারবো

উত্তরঃ ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স অন্যান্য বিআরটিএ অফিস থেকে দেয়া হয় না। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে বিআরটিএ-এর ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার আলাদা অফিসে যেতে হবে। যার সারাদেশে একটি মাত্র শাখা রয়েছে। অফিসটির ঠিকানা: ৩বি, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা।

প্রশ্নঃস্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য নেয়া পরীক্ষায় কি বিষয়ক প্রশ্ন আসে?

উত্তরঃ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য নেয়া পরীক্ষায় সাধারণত গাড়ি চালানো ও গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন দেয়া হয়।

শেষকথা

ড্রাইভিং লাইসেন্স একই সাথে যেমন আবেদনকারীর মোটরযান চালানোর অনুমতি বহন করে, তেমনি এটি আবেদনকারীর পরিচয়পত্র হিসাবেও কাজ করে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিকভাবে অর্জন করা একজন লোকের হাতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাই সঠিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী করা সকল মোটরযান চালকের নিরাপদে চলাচলের জন্য অপরিহার্য বিষয়

তথ্যসূত্রঃ
১) বিআরটিএ
২) যুগান্তর পত্রিকা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url