নিরাপদে ঘরে বসে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম একদমই সিম্পল। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এখন ঘরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।তবে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন।যদিও আরো বিভিন্ন উপায়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।আবার আমরা অনেকেই আছি যারা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানিনা, যার কারণে আমরা প্রায়শই টাকা-পয়সা অন্নের বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা লেনদেন করতে অনেক নানা প্রতিবন্ধকতা শিকার হয়েছি তাই সবকিছু পেরিয়ে নিরাপদে ঘরে বসে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানবো এবার তাহলে আপনিও কি একটি বিকাশ পার্সোনাল কিংবা এজেন্ট একাউন্টখোলার কথা ভাবছেন তাহলে আর দেরি নয় চলুন দেখি কিভাবে কি
বিকাশ একাউন্টের ধরণ
বর্তমানে বাবহারিত বিকাশ ৪ ধরণের একাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহককে সেবা দিয়ে আসছে। গ্রাহকের প্রয়োজন, সুবিধা- বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট- bKash Personal Account
- বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট- bKash Marchant Account
- বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট- bKash Personal Retail Account
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট- bKash Agent Account
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২
আপনি কি বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? অতএব আপনি যদি এখনো বিকাশ একাউন্ট খুলে না থাকেন, তাহলে বিকাশ একাউন্ট খোলার সাথে সাথেই ২০০ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন, সেইসাথে উপভোগ করতে পাবেন কেনাকাটা ও পেমেন্ট এর উপর বিভিন্ন অফার তো থাকেছেই। তাই আর দেরি নয় এসব সুবিধা এবং অফার যেন আপনি মিস না করেন, সেজন্য আজ আমরা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ সম্পর্কে আলোচনা করবো যেন আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়া শেষে মোবাইলে নিজেই ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন।বিকাশের নতুন একাউন্ট অফার ২০২২
বিকাশ কর্তৃপক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে অফার প্রদান করেছে। যারা এখনো বিকাশ একাউন্ট খুলে নিন তারা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে উপভোগ করতে পারবেন।
আপনি যদি বিকাশ গ্রাহক হতে চান এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে নতুনভাবে একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনি যে সকল অফার উপভোগ করতে পারবেন তা আপনাকে বিস্তারিত জানাব। তবে শুধুমাত্র বিকাশে নতুনভাবে একাউন্ট খুললেই অফার গুলো উপভোগ করতে পাবেন তবে আর দেরি না করে চলুন সুরু করি ।
বিকাশ অ্যাপ ওয়েলকাম অফার–প্রতি সপ্তাহেই বোনাস
আপনি কি জানেন বিকাশ অ্যাপ ওয়েলকাম অফার প্রথমবার বিকাশ অ্যাপে লগ ইন করে যত ব্যবহার করবেন তত বোনাস পাবেন। ঘড়ে বসে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকেই নিজের একাউন্ট খুলুন আর প্রতি সপ্তাহে সহজ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করে লুফে নিন ৮ সপ্তাহে সর্বমোট ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। তবে আর দেরি কিসে চলুন দেখি
প্রতি সপ্তাহেই বোনাস
ক্যাম্পেইনের বিস্তারিতঃ
- বোনাস পেতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের একাউন্ট স্ট্যাটাস এবং একাউন্টের ইনকামিং ট্রানজ্যাকশন সক্রিয় থাকতে হবে। যদি গ্রাহক একাউন্ট স্ট্যাটাসের ইস্যুজনিত কারণে বোনাস বিতরণ ব্যর্থ হয়, তাহলে গ্রাহক আর ক্যাম্পেইনের বোনাস পাবেন না।
- যোগ্য গ্রাহকেরা সাপ্তাহিক চ্যালেঞ্জ শেষ হওয়ার পরবর্তী ২ কর্মদিবসের মধ্যে উল্লিখিত সব ক্যাম্পেইনের জন্য বোনাস পাবেন
- যদি কোনো গ্রাহক কোনো সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করার মাধ্যমে তিনি পরবর্তী রবিবার (কার্যদিবসে) বোনাস পাবেন
- একাউন্ট স্ট্যাটাসের ইস্যুজনিত কারণ ছাড়া যদি অন্য কোনো অজানা কারণে গ্রাহক ক্যাশব্যাক না পান, সেক্ষেত্রে বিকাশ ২ সপ্তাহের মধ্যে দুই বার অন্তর অন্তর পুনরায় পুরস্কারের অর্থ প্রদানের চেষ্টা করবে। সব চেষ্টাই যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আর চেষ্টা করা হবে না এবং গ্রাহক অফার বোনাসের জন্য আর বিবেচিত হবেন না
- গ্রাহক তার বিকাশ একাউন্ট থেকে সাপ্তাহিক চ্যালেঞ্জ সমপন্ন করলে বোনাস পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন
- বিকাশ কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ক্যাম্পেইনের নিয়ম ও শর্তাদি পরিবর্তন/সংশোধন বা সম্পূর্ণ ক্যাম্পেইন বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে
- কোনো নির্দিষ্ট লেনদেন এবং/অথবা গ্রাহকের লেনদেন কার্যক্রম যদি এরূপ কোনো যুক্তিসংগত সংশয় তৈরি করে যে, গ্রাহক কর্তৃক ক্যাম্পেইনের সুবিধার অপব্যবহার হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিকাশ গ্রাহকের বোনাস বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
- যেকোনো সপ্তাহের চ্যালেঞ্জ বোনাস ওই সপ্তাহের নির্দিষ্ট প্রথম লেনদেন এর উপর প্রযোজ্য।সুত্রঃ বিকাশ
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২
বর্তমান সময়ের শহর থেকে প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত অর্থ লেনদেনের বিশ্বস্ত এক মাধ্যম এর নাম বিকাশ। জীবিকার তাগিদে মানুষকে গ্রাম থেকে শহরে প্রস্থান করতে হয়। তাই শহরের পরিবেশে আধুনিকতা গ্রামে লক্ষ করা যায়।
নিশ্চয়ই জানেন শহরে প্রস্থান করা মানুষটি গ্রামে অবস্থান করা পরিবারের অর্থের জোগান দেয়। বলে শহরের মানুষের উপার্জিত অর্থ তাদের প্রিয় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে ‘বিকাশ’ কে বেছে নিয়েছে।
বিকাশ হলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকরা *২৪৭ # ডায়াল করে এবং বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ অর্থ জমা করা, নগদ অর্থ উত্তোলন করা, টাকা পাঠানো, টাকা যোগ করা, রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, মূল্য প্রদান ও বিল দেয়া ইত্যাদি সেবাগুলো নিতে পারেন। বিকাশ হিসাব খুলতে একজন গ্রাহককে পুর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে হয়।
বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সিম্পল | How to open bKash Account
- বিকাশের অ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা
- বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে একাউন্ট খোলা
- বিকাশ ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা
- বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কেন্দ্রে গিয়ে একাউন্ট খোলা যাবে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন?
- NID কার্ড বা (জাতীয় পরিচয় পত্র)বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথহা পাসপোর্ট, কিংবা Birth Certificate (জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট)
- স্মার্টফোন, তবে বাটন মোবাইলেও বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি ( যদি অ্যাপ ছাড়া একাউন্ট খুলেন তাহলে ছবি লাগবে )
অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি চাইলে নিরাপদে ঘরে বসে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। কারণ বিকাশ অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে:
- স্মার্টফোন
- মূল ভোটার আইডি কার্ড (NID কার্ড )
- ঘরে বসে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার নিয়ম
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার মোবাইলের প্লেস্টোর থেকে বিকাশের অফিসিয়াল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে হবে ।
- এবার আপনার মোবাইলে ওপেন করুন বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন- অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে ।
- তারপর অ্যাপটি ওপেন করুন এবং রেজিস্ট্রেশন এ ট্যাপ করুন।
- আপনি যে নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেই নাম্বার-টি সঠিকভাবে লিখে বসিয়ে নিন।
- এরপর যে মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহার করছেন সেটি সিলেক্ট করে দিন, যেমন: রবি হলে রবি আইকন , গ্রামীণফোন হলে গ্রামীণ আইকন সিলেক্ট করুন এর পর এগিয়ে যান
- এবার আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি যাবে তাতে একছেপ্ট করুন (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাঠানো হবে, ৬ ডিজিটের গোপন নাম্বারটি সঠিকভাবে সাবমিট করুন।
- এরপর, বিকাশের নিয়ম এবং শর্তাবলী দেখে এবং সম্মতি দিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন শুরু করার জন্য আপনার অরিজিনাল এনআইডি কার্ড টি প্রথমবার জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনের অংশ ও পরে পেছনের অংশয়ের ছবি ভালোভাবে তুলে সাবমিট করতে হবে।
- বিকাশে ভোটার আইডি কার্ড সাবমিশন
- এবার আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে উল্লেখ করা নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য ঠিক আছে কি না তা যাচাই করুন।
- এবার আপনার নিজের ছবি বা সেলফি তুলে সাবমিট করতে হবে।মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় ডানে, বামে তাকাবেন এবং দুই থেকে তিনবার দ্রুত চোখ খুলবেন এবং বন্ধ করবেন।
- রেজিস্ট্রেশনের সকল তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন।
- এরপর কনফার্মেশন এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করুন, এসএমএস পেলে লগইন করুন।
বিকাশ একাউন্ট পাসওয়ার্ড সেট করার নিয়ম:
- একাউন্ট কনফার্মেশন মেসেজ পাওয়ার পর পুণরায় বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করুন।
- আপনার বিকাশ একাউন্টের নাম্বারটি বসিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
- আবারও মোবাইল সিম অপরেটর সিলেক্ট করুন।
বিকাশ পিন সেট
- আপনার মোবাইলে আসা ৬ ডিজিটের ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) নাম্বারটি লিখে সাবমিট করুন।
- এবার আপনি আপনার পছন্দমত ৫ ডিজিটের গোপন নতুন পিন কোড সেট করুন। (১২৩৪৫ বা ২৩৪৫৬ এমন সহজ পিন কোড দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন) ।
- পূর্বে সাবমিট করা ৫ ডিজিটের গোপন পিনটি পুণরায় লিখে কনফার্ম করুন।
- পিন সেট করার পর আপনার বিকাশ নাম্বার এবং গোপন পিন কোড দিয়ে বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন।
বিকাশ একাউন্ট প্রোফাইল সাজানোর নিয়ম:
বিকাশ অ্যাপ লগইন করুন বিকাশ প্রোফাইল এ আপনার নাম বক্স এ এডিট করে পানার নাম সেট করুন এবং সেভে করুন। ব্যাস এখন আপনার বিকাশ একাউন্ট টি সফলভাবে সক্রিয় হয়ে গিয়েছে, আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজনীয় সকল লেনদেন চালু করতে পারেন।
এরপর আপনার নাম সেট করুন এবং পরবর্তী ধাপে আপনার ছবি সিলেক্ট করে সেভ করুন।
এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনার যদি বাটন মোবাইল থাকে তাতে কোন সমস্যা নেই বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্টে যেতে পারেন। তাছাড়া, স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোন সমস্যা হয়, তাহলেও এজেন্ট পয়েন্ট থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
বিকাশ এজেন্টের কাছে একাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে:
- NID (জাতীয় পরিচয় পত্র)/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট এর মূল কপি এবং ফটোকপি
- একটিভ মোবাইল, এবং
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি (১কপি)
এজেন্ট পয়েন্টে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম:
- প্রথমে এজেন্টের কাছে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রে এককপি ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে অবশ্যই দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে।
- এরপর এজেন্ট আপনার কাছে একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার চাইবে।
- বিকাশের এজেন্ট যখন আপনার সকল তথ্য সাবমিট করবে, এবং সাবমিট করার কনফার্মেশন এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে । এরপর আপনার বিকাশ নাম্বারে নিশ্চিতকরণ এসএমএস আসবে।
- এবার আপনাকে ৫ ডিজিটের গোপন পিন সেট করে বিকাশ একাউন্ট-টি সক্রিয় করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনার বয়স ১৮ বছর এর কম হলে আপনি ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন না। ফলে, বিকাশ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন না। অথচ, আপনার একটি বিকাশ একাউন্টের খুবই প্রয়োজন, এখন কি করেবেন? কোন সমস্যা নেই, আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়েও বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনার সদ্যতোলা দুইকপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি নিয়ে আপনাকে যেকোন বিকাশ এজেন্ট অথবা নিকটস্থ বিকাশের কাস্টমার কেয়ার অফিসে যেতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এ ব্যাপারে আমাদের পুরো গাইডলাইন দেয়া হয়েছে আপনি ইচ্ছা করলে নিচের লিঙ্ক এ গিয়ে দেখে আসতে পারেন
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম - আইডি কার্ড ছাড়া বিকাশ খোলার নিয়ম
ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান, তবে কি কি প্রয়োজন হবে, তা দেখে নেওয়া যাক:
- স্মার্টফোন অথবা ফিচারফোন এবং
- ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি।
নিয়মাবলীঃ
- আপনার মোবাইল নাম্বার এজেন্টকে দিন এবং মোবাইল নাম্বার ও অপারেটর সম্পর্কে জানান।
- আপনার নাম্বারে পাঠানো রেফারেন্স কোড এজেন্টকে দিন।
- এজেন্ট আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের ছবি তুলবেন।
- কেওয়াইসি এন্ট্রি সম্পন্ন করার জন্য এজেন্ট আপনার ছবি তুলে নিবেন।
- কনফার্মেশন সফল হলে আপনি একটি এসএমএস পাবেন।
- এরপর আপনি আপনার ইচ্ছামতো ৫ ডিজিটের গোপন পিন সেট করে নিন।
মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট অনলাইনে খুলতে চাইলে প্রথমে আপনাকে বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। “Bkash Marcent" - এই লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি দু'টি অপশন পাবেন এজেন্ট এবং মার্চেন্ট একাউন্ট।আপনাকে সেখান থেকে আপনি মার্চেন্ট একাউন্ট অপশানটি সিলেক্ট করলে আপনি মার্চেন্ট একাউন্টের জন্য প্রয়ােজনীয় ফর্মটি পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি সথিকভাবে ফর্মটি পূরণ করে মার্চেন্ট একাউন্টের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। সঠিক তথ্য দিয়ে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের ফর্মটি পূরণ করে পাঠানাের কিছু সময় পরে আপনি এই মার্চেন্ট একাউন্ট খােলার জন্য উপযুক্ত কিনা বা এই মার্চেন্ট একাউন্টটি সফলভাবে খােলা হয়েছে কিনা তার একটা কনফার্মেশান ইমেইল পাবেন। এভাবেই সহজ উপায়ে প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি দিয়ে আপনি একটি মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন ঘরে বসেই। এছাড়াও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খােলার জন্য আপনি বিকাশে কর্মরত অফিসারের সাথে যােগাযােগ করতে পারেন বা চলে যেতে পারেন নিকটস্থ বিকাশ পয়েন্টে।মার্চেন্ট একাউন্ট খােলার জন্য প্রয়ােজনীয় তথ্যাদি
বিকাশ পয়েন্টে গিয়ে কিংবা অনলাইনে মার্চেন্ট একাউন্ট খােলার জন্য আপনার কিছু প্রয়ােজনীয় কাগজ-পত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দরকার রয়েছে আর সেগুলাে হলো- জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপাের্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরন
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা
- ব্যাংক একাউন্ট (আনলিমিটেড ট্রানজেকশন সুবিধার জন্য)
- প্রতি মাসে আনুমানিক পেমেন্টের পরিমাণ
- ছবি
- মােবাইল নাম্বার
- ইমেইল এড্রেস (যদি থাকে তবে থাকলে ভাল)
মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
যারা বিকাশের এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তাদের জন্য এই অংশটুকু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম এখন অনেকেই জানলেও কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হয়, তা খুব কম লোকই জানি। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার যোগ্যতা, কোথায় গিয়ে এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হয় এবং কি কি কাগজ পত্রের প্রয়োজন হতে পারে সেসম্পর্কেও জানা দরকার।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যা যা লাগবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র / ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার।
- ট্রেড লাইসেন্স।
- আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম:
কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ বিকাশের কাস্টমার কেয়ার অফিস অথবা এজেন্টের কাছে যেতে হবে।
- কাস্টমার এজেন্ট কিংবা বিকাশ এজেন্ট আপনাকে একটি ফরম দিবে।
- আপনার কাগজ-পত্রের সাথে মিল রেখে ফরম-টি পূরণ করে জমা দিন।
- কাগজপত্র যাচাই পূর্বক আপনাকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে দিবে।
বিকাশ একাউন্ট চেক করার নিয়ম
অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম:
- বিকাশ ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে আপনার স্মার্টফোনের বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন
- এরপর আপনার বিকাশ নাম্বার এবং ৫ ডিজিটের গোপন পিন নাম্বার টি বসিয়ে লগইন করুন।
- এরপর অ্যাপ ওপেন হলে “ট্যাপ ফর ব্যালেন্স” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার বিকাশ একাউন্টে কত টাকা আছে দেখতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম
ইউএসএসডি পদ্ধতিতে বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম:
- মোবাইল ড্যায়াল প্যাড থেকে *২৪৭# ড্যায়াল করুন
- ৮ নম্বর অপশন বা My bKash অর্থাৎ ৮নং অপশন সিলেক্ট করার জন্য ৮ লিখে রিপ্লাই দিন।
- এবার বিকাশ একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার জন্য ১ লিখে রিপ্লাই দিন।
- গিয়ে চেক ব্যালান্সে ক্লিক করে আপনার বিকাশ একাউন্টের টাকা দেখতে পাবেন।
- এরপর আপনার ৫ ডিজিটের পিন লিখে রিপ্লাই দিলেই আপনার বিকাশ একাউন্ট চেক করতে পারবেন।
রিলেটেড পোস্টঃ
- বিকাশ থেকে কিভাবে লোন নেওয়া যায় - Digital Nano Loan by Citybank To bKash
- বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে কি করবো - Bkash pin unlock
এছাড়া, বিকাশে প্রথম বার ১০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি সেন্ড মানি করা যায় পরে ১০০ এর নিচে আরও দুই বার সেন্ড করা যায়। দ্বিতীয়বার থেকে ১০০ টাকার বেশি পরিমাণ টাকা পাঠানোর জন্য ৫ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি ৫টি প্রিয় নাম্বার করে নিতে পারেন শে ক্ষেত্রে প্রিয় নাম্বারে প্রতি মাসে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি সেন্ড করা যায়।
বিকাশ একাউন্টের সুবিধা অসুবিধা
বিকাশ একাউন্ট খোলার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে সহজে একস্থান থেকে অন্য স্থানে খব সহজে টাকা-পয়সা লেনদেন করা যায় এছাড়াও, বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে আরো বেশ কিছু সুবিধামূলক কাজ করা যায়।
বিকাশ একাউন্টের সুবিধা সমূহ
- বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা-পয়সা লেনদেন করা যায়।
- বিকাশের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায়।
- মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা আছে।
- বিদেশ থেকে রেমিটেন্স নিয়ে আসার সুযোগ।
- বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল, টিউশন ফি পরিশোধ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফি পরিশোধ করা সম্ভব।
- বিকাশ একাউন্ট খুলতে অতিরিক্ত কোন ব্যাংক একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয় না।
- বিকাশের পার্সোনাল একাউন্টে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা উত্তেলন করা সম্ভব।
- ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আনা যায়।
- প্রিয় এজেন্ট এর কাছে বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ মাত্র ১৪.৫০ টাকা।
বিকাশ একাউন্টের অসুবিধা:
বিকাশ একাউন্ট খোলার বেশ কিছু সুবিধা থাকলেও নগদ এবং রকেট এর তুলনায় অনেকগুলো অসুবিধাও রয়েছে, যেমন:
- বিকাশের মাধ্যমে সেন্ড মানি করতে গেলে অত্রিরক্ত টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- প্রতি হাজারে টাকা উত্তোলন করার সময় ১৮.৫০ টাকা খরচ হয়, যা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেকটা বেশি।
- পার্সোনাল একাউন্ট থেকে প্রতিদিন মাত্র ২৫,০০০ টাকা উত্তেলন করা যায়।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার নিয়ম
অনেকের মনে এই প্রশ্নটা আসতে পারে যে, বিকাশের কি একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করা সম্ভব? না, সরাসরি সম্ভব না। তবে, বর্তমান বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে অন্য নাম্বারে একাউন্ট করতে পারবেন।আপনার এখন যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই নাম্বার থেকে বিকাশ কল সেন্টারে ফোন করে বর্তমান বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে নিতে হবে, এরপর আপনি যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেই নাম্বার দিয়ে পুনরায় বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
বিকাশের মালিকানা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন? ধরুন, আপনি এখন যে বিকাশ একাউন্টটি ব্যবহার করছেন সেটি আপনার বাবার তথ্য এবং ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা, এখন বিকাশ একাউন্টটি আপনার নিজস্ব তথ্য এবং এনআইডি দিয়ে আপডেট করে মালিকানা পরিবর্তন করতে চান। এমতাবস্থায়,
মালিকানা পরিবর্তন করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- মনে রাখবেন যার নামে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে তাকে স্ব-শরীরে এনআইডি কার্ডসহ বিকাশের কাস্টমার অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
- নতুন যার নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা হবে তার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি অবশ্যই সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
- আগে বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স ০ (শূন্য) করে নিতে হবে।
- এরপর তারা আপনার ID কার্ড, আপনার ছবি, আপনার সিম এর তথ্য তারা চেক করবে।
- সব কিছু ঠিক থাকলে বিকাশ কাস্টমার সেন্টারের প্রতিনিধি আপনার পুরাতন একাউন্টি বন্ধ করে দিবে। আর এর মাধ্যমে আপনার মোবাইল নাম্বারটি যেকোন এনআইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল। এখন আপনি আপনার এই ID ব্যাবহার করে অন্য যে কোন নাম্বারে বিকাশ খুলতে পারবেন।
- আপনি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার অফিসারকে জানালে আপনার নতুন নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলে দিবে। তাছাড়া, চাইলে উপরে উল্লেখ করা বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখেও পরবর্তীতে যেকোন সময় বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর এভাবেই বিকাশের মালিকানা পরিবর্তন করা সম্ভব হবে।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
আপনার প্রয়োজনে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন
- অবশ্যই আপনার বিকাশের ব্যলান্সের টাকা ০ (শুন্য) করে নিন।
- এক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য প্রথমে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার ১৬২৪৭ এ কল দিন।
- আপনার যে নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খোলা রয়েছে সেই নাম্বার ব্যবহার করে ফোন কল করুন।
- এবার, আপনি তাদের বলবেন যে “আমি আমার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চাই
- কাস্টমার প্রতিনিধি আপনার কাছ থেকে একাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইবে, যেমন: আপনার নাম, বিগত কিছু লেনদেনের হিসাব, আপনার এনআইডি নাম্বার ইত্যাদি।
- সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার বিকাশ একাউন্টের বন্ধের কাজ প্রসেসিং হবে, এবং সফলভাবে বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ হয়ে যাবে।