২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম ২০২২ - anyupay.com

২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম ২০২২

চলতি বছরে বিকাশ সিটি ব্যাংকের সাথে একত্রিত হয়ে একটি নতুন বিকাশ লোন পদ্ধতি চালু করেছে। আপনি যদি একজন বিকাশ  নিয়মিত গ্রাহক হন সেক্ষেত্রে আপনি ২০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম ২০২২

বিকাশ বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। যখন থেকে এর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করেছে, তখন থেকে এটি সাধারণ মানুষের জন্য খুব সহজ হয়ে উঠেছে।

আপনি যদি একটি বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে তা পরিশোধ করবেন জানতে চান তা তাহলে এই আর্টিকেলটি  আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিভাবে লোন নিবেন কিভাবে  লোন পরিশোধ  করবেন তার বিস্তারিত জানাবো আজ  এই পোস্টটির মাধ্যমে। 

২০ হাজার টাকা বিকাশ লোন পাওয়ার নিয়ম


সম্প্রতি বিকাশ যে নতুন বিকাশ লোন পদ্ধতি চালু করেছে তা থেকে আপনি বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নিতে পারবেন। বিকাশ দিয়ে ২০০০০ টাকা ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে বিকাশ এপ ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া আপনাকে বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে এবং প্রতিমাসে বিকাশ থেকে টাকা প্রদান উত্তোলন করতে হবে।

এল নেয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনাকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি বিকাশ থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ পান? তাহলে বিকাশ তিন মাসের মধ্যে তা একটি নির্দিষ্ট হারে আপনার অ্যাপ থেকে টাকা কেটে পরিশোধ করে নিবে।

কিভাবে বিকাশ লোন নেওয়া যায়?

আপনি ভাবছেন কিভাবে বিকাশ লোন নেওয়া যায় ? তাহলে আজ জেনে নিন বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম। বিকাশ লোন নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে। নিয়মিত গ্রাহক ব্যতীত বিকাশ এ লোন প্রদান করে থাকে না। আপনি বিকাশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রথমে লোন নিতে পারবেন। সম্প্রতি এ সেবাটি সিটি ব্যাংক বিকাশের সাথে যুক্ত হয়ে পরীক্ষা মুলক চালু করেছে। তবে ধীরে ধীরে এ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

বিকাশ লোন পাওয়ার উপায়

বিকাশ থেকে এবারেই ডিজিটাল লোন পদ্ধতি চালু করেছে সিটি ব্যাংক। এই বিকাশ লোন নেয়ার জন্য আপনাকে একজন নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক হতে হবে। নিতে হলে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। লোন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে নিতে হয়। এর জন্য কোন জামানত প্রয়োজন হয় না।

কোন প্রকার জামানত ছাড়াই বিকাশ এ লোন প্রদান করে থাকে। তবে আপনাকে লোন নেয়ার তিন মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। বিকাশ আপনার অ্যাপ থেকে প্রতিমাসে নির্ধারিত টাকা কিস্তির মাধ্যমে কেটে নিবে। এভাবে তিন মাস পর্যন্ত বিকাশ আপনার অ্যাপ থেকে টাকা কেটে নিয়ে তা পরিশোধ করবে।

বিকাশ লোন ফরম

বিকাশ  লোন নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ লোন ফরম এর কোন প্রয়োজন হবে না। কেননা বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে শুধু বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। আপনার ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ থাকে এবং আপনি একজন বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক হোন। এবং প্রতিমাসে বিকাশ থেকে টাকা উত্তোলন করেন। তাহলে আপনি বিনা লোন ফরম এ টাকা পেয়ে যাবেন।

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

আমি কি বিকাশ লোন পাবো?

আপনি যদি বিকাশে একজন নিয়মিত গ্রাহক হন তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশ লোন পাবেন। তবে এর জন্য আপনাকে লোন পাওয়ার সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আবার যেহেতু তারা এটা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে তাই যে যে এরিয়ার মধ্যে চালু করেছে ওই এরিয়ার মধ্যে আপনি থাকলে এবং আপনি যদি বিকাশ লোন পাওয়ার নিয়ম কানুন মেনে চলেন তাহলে বিকাশ থেকে তাহলে পাবেন। অন্যথায় কোনপ্রকার লোন পাবেন না। তাই আপনি যদি লোন পেতে চান উপরের দেয়া তথ্যগুলো মেনে চলুন।

বিকাশ সহজে লোন

আপনি  বিকাশ থেকে সহজে লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রতিমাসে টাকা  লেনদেন করতে হবে এবং উত্তোলন করতে হবে। বিকাশ যদি দেখে আপনি বিকাশ এর একজন নিয়মিত গ্রাহক। তাহলে আপনি খুব সহজেই বিকাশ লোন পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে কোন জামানতের প্রয়োজন পড়বে না।

বিকাশ লোন নিতে হলে কোনরকম জামানত দিতে হবে কি? 

বিকাশ লোন কোন রকম জামানত ছাড়াই পাওয়া যাবে  এ বিকাশ লোন  – আবার প্রশ্ন  করতে  পারেন সিটি ব্যাংক কেন এই লোন দিচ্ছে এবং এটি কি সবাইকেই দিচ্ছে? উত্তরে বলব না। এটি একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে নিয়েছে সিটি ব্যাংক। ছোট খাট ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে বিকাশ এ ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

তবে ব্যাংক লোন এখন আপনার হাতের মুঠোয় কারণ, তাই সিটি ব্যাংক নিয়ে এলো বিকাশ গ্রাহকদের জন্য কোনো কাগজপত্র ছাড়া মুহূর্তেই লোন নেওয়ার সুবিধা। এই লোন সুবিধার আওতায় একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন।গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে এই লোনের টাকা জমা হবে, এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্রাহক এই লোনের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। একজন গ্রাহক একবারে একটি লোনই নিতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী লোন এমাউন্টের উপর বাৎসরিক ৯% ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে।

বিকাশ অ্যাপ থেকেই সিটি ব্যাংক-এর লোন নিন মুহূর্তে লোন ইজি এই লোন যেহেতু কোন জামানত ছাড়াই তাই মুহুর্তেই লুফে নেয়া যাবে । তবে আপনার বিকাশ একাউন্টটি পাইলট প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হতে হবে। আপনি লোন পাবেন কি পাবেন না এটি সম্পূর্ণ বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে।

কিভাবে বিকাশ লোনের জন্য আবেদন করতে হয়?

বিকাশ লোনের জন্য কি আবেদন করা লাগে এমন প্রশ্ন প্রায়ই সময় পাওয়া যায়। আপনি যদি লোনের জন্য প্রযোজ্য হন তবে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে গেলে আপনার লোনের পরিমাণ দেখাবে এবং আপনি আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু নিচের মত ম্যাসেজ দেখালে আপনাকে উপযুক্ত হতে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি ইচ্ছা প্রকাশ করলেই এই মুহুর্তে পাচ্ছেন না আপনার কাঙ্খিত লোন।
কেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেবেন?
আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পাবেন
  1. ৩ মাস মেয়াদী লোন
  2. কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না
  3. কোন কাগজ-পত্র লাগবে না
  4. একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধের সুবিধা
  5. ব্যাংক-এর কোন প্রসেসিং ফি নেই

Repay system of Bkash Loan  লোন পরিশোধের নিয়মাবলি

  1. লোন অ্যাপ্লাই করার সময় ও লোন পাওয়ার পর ড্যাশবোর্ড-এ গ্রাহক লোন কিস্তির পরিমাণ ও পরিশোধের তারিখ দেখতে পাবেন
  2. গ্রাহক চাইলে লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অটো ডেবিট হিসেবে কেটে নেয়া হবে। অথবা, গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট দিনের আগে নিজেই লোনের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন, যার ফলে ইন্টারেস্টের খরচ কমে আসার সুবিধা পেতে পারেন।
  3. নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে যথাযথ পরিমাণ অর্থ না থাকলে এবং নির্দিষ্ট দিনের আগেই লোনের অর্থ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধ না করা হলে, সেক্ষেত্রে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে।
  4. বিলম্ব ফি’র হার লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২%

বিকাশের কোন গ্রাহক এই লোন সুবিধা পাবেন?

নির্দিষ্ট গ্রহকের জন্যই বিকাশ লোন –ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই বিকাশ লোন সুবিধা প্রদান করবে। আপনি বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন কি না, তা জানতে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে যান। ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, এবং ক্রেডিট পলিসি নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক কর্তৃক সংরক্ষিত।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url