অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম - anyupay.com

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম কি? নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদনের সাথে কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে সে সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। 



নতুন ভোটার আইডি কার্ড  নিবন্ধন করার নিয়ম ২০২২

তাই নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। আজকাল নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া বা নতুন ভোটার হওয়া খুব সহজ। আপনি চাইলে সহজেই অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং খুব দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারেন। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে নতুন ভোটারের আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয়ের জন্য যে আইডেন্টিটি দরকার তার নাম হচ্ছে সনদ বা ভোটার কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি বলা হয়। আপনার বয়স 16 হলে আপনি একজন নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

প্রথমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম 2 সংগ্রহ করে তা পূরণ করে অফিসে আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে নতুন ভোটার হতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রথমে অফিসে যেতে হবে, ফরম সংগ্রহ করতে হবে, তারপর সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করতে হবে, তারপর নথিপত্র নিয়ে অফিসে ফিরে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, নতুন ভোটার আবেদনপত্র অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে না। নতুন ভোটার আবেদন ফর্মটিতে একটি অনন্য নম্বর রয়েছে, তাই আপনি যদি এটি অনলাইনে ডাউনলোড করেন তবে এটি নকল হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। তাই অফিসে আবেদন করে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইন থেকে কখনই নতুন ভোটার আবেদনপত্র ডাউনলোড করবেন না

দ্বিতীয়ত, কেউ অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। ঘরে বসে অনলাইনে আপনার আবেদন জমা দিয়ে কাগজপত্রসহ অফিসে জমা দিলে অফিসে ঘন ঘন আসার সময় ও ঝামেলা দুটোই কমে যায়। অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরির নিয়ম খুবই সহজ। তাই আমি বিস্তারিত উল্লেখ করব কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন জমা দিতে হয়।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড কি

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য নতুন ভোটার আইডি কার্ড একান্ত এটি অত্যান্ত গরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনে সরকারী কিংবা বেসরকারী যে কোন দাপ্তরিক কাজে এটি প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়।

ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বানাবো

ভাবছেন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বানাবো। সাধারণত প্রতি তিন বছর পর পর আদম শুমারীর যা বর্তমানে গণশুমারী বলা হয়। গণশুমারী মাধ্যমে নতুন ভোটার নিবন্ধন করা হয়। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের লোকজন বাড়ী বাড়ী গিয়ে নতুন ভোটারের তালিকা করে থাকেন।যারা এই কার্যক্রম চলাকালীন বিভিন্ন কাজে কর্মে বাদ পড়েন তারা অনলাইনে আবেদন করে নতুন ভোটার হতে পারে। নির্বাচন কমিশন প্রতি বছর জানুয়ারী মাসের শেষে নতুন ভোটারের তালিকা প্রকাশ করে থাকে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২২

এবার একটু ভিন্ন ভাবে বলতে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয় সনদ হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে আমরা এনআইডি বলে থাকি যাই হোক দেশের ভিতর এটি পরিচয় প্রমাণের প্রধান মাধ্যম হল (NID) । আঠার বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে। তবে আজ আইনে আজকে আলোচনা করা হবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম। ভোটার হওয়ার নতুন নিয়ম ২০২২ অর্থাৎ এনআইডি (NID) করতে কি কি লাগে?

nid ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে যা লাগবে

আপনি নিশ্চয়ই জানেন ভোটার আইডি ছাড়া অনেক সুবিধা থেকে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন তাই নিজেকে ভোটারে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক কর্তব্য। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ কার্ড প্রদানসহ যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন ভোটার কিভাবে হবেন কিংবা ভোটার হতে কি কি লাগে বা NID পেতে প্রক্রিয়া কি তা নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে তবে ধারাবাহিকভাবে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে যা আপনার অনেক উপকার হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?

নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার  জন্য নির্বাচন অফিসে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা নিচে দেওয়া হলো
  • জর্ম্ম সনদের ফটোকপি
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র
  • শিক্ষিত হলে এসএসসি সনদসহ শিক্ষাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
  • রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হলে তার ফটোকপি
  • বিদ্যুৎ বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • জমির কাগজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম 

ভোট নিবন্ধন চলাকালে আপনার এলাকায় নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে যদি বাদ পড়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন। তার আগে আপনাকে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন যা আমাদের এই পোস্ট এ দেখিয়ে দিবো পুরো প্রক্রিয়া আশা করি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।

নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম

আপনার বয়স যদি আঠার পূর্ণ হয় এবং ভোটার না হয়ে থাকেন তাহলে নতুন ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে পারেন।জা নিচের নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজেই ভোটার হতে পারেন। ভোটার নিবন্ধন সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। এলাকা অনুযায়ী সময়টা ভিন্নতা থাকে পারে। 

তবে আপনি এক্ষেত্রে যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।নিজেকে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন কপি প্রিন্ট করে নিন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোজ নিয়ে জানুন আপনার এলাকার ছবি, ফিংগার প্রিন্ট কখন শুরু হবে। শে অনুযায়ী  আপনার এলাকার ছবি তোলা শুরু হলে আবেদন ফরম ও প্রয়োজনী কাগজপত্রসহ ছবি  তুলে আসুন।এ ক্ষেত্রে আপনার ছবি, ফিংগার নেওয়ার পর আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। সেই স্লিপটি যত্ন করে রেখে দিন। স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় অবশ্যই স্লিপটি সাথে নিয়ে যাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে

অনলাইনে আবেদন করার পর হার্ডকপি অর্থাৎ আবেদনের প্রিন্ট কপি ও নিম্মোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। 

  1. আপনার অনলাইন জমা দেওয়া ফর্মের প্রিন্ট কপি
  2. আপনার S.S.C. অথবা সমমানের সার্টিফিকেট যা বয়স প্রমাণের জন্য
  3. আপনার জন্ম সনদ  যা বয়স প্রমাণের জন্য
  4. আপনার পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স আথবা টিন সার্টিফিকেট জা বয়স প্রমাণের জন্য 
  5. আপনার বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি অবশ্যই লাগবে 
  6. ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ি ভাড়ার রসিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ আপনার ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে
  7. আপনার নাগরিকত্ব [সনদ প্রযোজ্য হিসাবে ]

Online NID Registration - অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

নতুন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বানাবো? অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার আবেদন করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া। যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা  দিলেই হবে। পরবর্তীতে  আপনার আবেদনটি ভেরিফিকেশন শেষে আপনাকে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্য ডাকা হবে এবং আপনাকে একটি ভোটার নিবন্ধন স্লিপ দেয়া হবে। এর দশ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদনটি অনুমোদিত হলে আপনি অনলাইন থেকে পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম 

অনলাইনে আবেদন করার জন্য বা ভোটার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। মোবাইলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যে কোন ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে গিয়ে  https://services.nidw.gov.bd/ এই  ঠিকানায়া গিয়ে নতুন ভোটার নেভিগেশন বাটন ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে ফেলুন। 

জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি করার জন্য যা প্রয়োজন

আপনি নিশ্চয়ই জানেন ন্যাশনাল আইডি কার্ড আপডেট একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই আপনি অনলাইনে যেকোনো সময় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন ঘড়ে বসে ।আর আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন কিন্তু এখনো নিবন্ধিত না হন, যদি আপনার বয়স 16 বছর বা তার বেশি হয় কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধিত না হন, তাহলে আপনি সহজে অনলাইনে ফর্মটি পূরণ করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তারপরও আপনার আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা ,থানা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জমা দিয়ে আপনার কাজটি এগিয়ে নিবেন । এরপর আপনার সব তথ্য যাচাই করা শেষে আপনার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক তথ্য) প্রদানের জন্য ডাক দিলে পরবর্তী কাজ সম্পন্ন করুন।

আপনার নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে:

  1. আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  2. আপনার বয়স 10 বছরের কম নয়।
  3. আপনার পূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করা হয়নি।

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে NID Application System এ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • NID Application System এ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ট্যাবে ক্লিক করুন
  • প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে
  • অনলাইন আবেদন  সুবমিট করতে হবে 
  • এরপর আবেদন ভেরিফিকেশন
  • তারপর বায়োমেট্রিক প্রদান (Biometric Information- Picture, Fingerprint)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড/ সংগ্রহ
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার নিয়ম এই  বিষয়টাকে পাঠকদের কাছে সহজ করার জন্য ৪টি ধাপে ক্রমান্বয় আলোচনা করেছি যা পাঠকরা উপকৃত হবে সহজে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে পারবে

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন

আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করুন আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে NID Online Registration; https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account  ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। NID card er jonno abedon সবথেকে ভাল সুবিধা হচ্ছে  অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন তথ্য ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এখানে আপনি নিজের তথ্য নিজে দেখে শুনে প্রদান করছেন। এবং যা  আপনার দেয়া তথ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রিন্ট হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম

অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধনের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

১. একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রথেমেই এই লিংকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/  Bangladesh NID Application System এ আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিচের ছবিতে দেখুন। 

  • নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
    নতুন ভোটার আইডি কার্ড  নিবন্ধন করার নিয়ম
আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করুন।

এখানে এই অপশন আপনার নাম জন্মতারিখ ও ক্যাপচা কোডটি সঠিক ভাবে  লিখে বহাল রাখুন

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম


তারপর আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশনের জন্য মোবাইল নম্বর দিতে হবে। 


ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ওটিপি যাবে সেটা দিয়ে ভেরিফাই করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন
অবশ্যই আপনার বাবহারিত সচল এবং এই মহুর্তে আপনার কাছে আছে এমন মোবাইল নম্বরটি দিবেন।অবশ্যই আপনার বা যার আবেদন করছেন তার নিজের মোবাইল নম্বর দিতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে লগইন করার জন্য বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের জন্য নম্বরটি প্রয়োজন হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন

আপনার মোবাইলে 6 ডিজিটের একটা কোড আসবে। মোবাইলে আসা এই ৬ ডিজিটের ভেরিফিকেশন পিন কোডটি লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান। নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

এই পর্যায়ে আপনাকে একটি ইউনিক ইউজারনেম যা পূর্বে ব্যবহার হয় নি এমন  (Username) ও পাসওয়ার্ড (Password) সেট করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ইউজার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে, জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড, সংশোধনের আবেদন ও অন্যান্য সেবা নিতে পারবেন।তবে খায়াল রাখবেন  ইউজারনেম ইংরেজি নাম হিসেবে দিবেন। পাসওয়ার্ড নাম ও সংখ্যার মিশ্রনে দিবেন এবং পাসওয়ার্ড কমপক্ষে ৮ ডিজিটের দিবেন।

apply-for-nid-bangladesh


যদি ইউজারনেম এমন দেখায় যে এই Username Already Exists তা হলে বুজবেন এই  ইউজারনেম ইতোমধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে এমন সমস্যা দেখায়, ইউজারনেম পরিবর্তন করে পুনরায় চেষ্টা করুন।মনে রাখবেন, আপনার ইউজারনেম অন্য কারে সাথে যেন না মিলে। তাই মাথা খাটিয়ে এটা লিখুন যেন ইউনিক হয়।

২. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২২


আপনার এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনের সিস্টেমে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন হলে, আপনি নিচের মত একটি ড্যাশবোর্ড দেখবেন। যদি অটোমেটিক লগ ইন না হতে পারেন, আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে পারবেন।

নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম


জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড তৈরি কিভাবে করবেন

http://www.ecs.gov.bd/page/registration-process এখান থেকেই, আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করবেন। প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করুন এবং উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করুন।তারপর নিচের মত একটি পেইজ পাবেন, যেখানে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য, অন্যান্য যা তথ্য ও ঠিকানা লিখতে হবে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

প্রথম ১ম অংশে আপনার সকল তথ্য এবং অবশ্যই আপনার পিতা ও মাতার নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখতে হবে।

আপনার অভিভাবক হিসেবে যেমন বড় ভাই/ বোনের তথ্য না দিলেও চলবে তবে দিতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য সুবিধা হতে পারে।

আবার অভিভাবক হিসেবে  এর পর স্বামী/স্ত্রীর তথ্য বৈবাহিক অবস্থা অবশ্যই দিবেন, এবং স্বামী বা স্ত্রীর নাম জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে দিবেন।

এর পর ২য় অংশ অন্যান্য তথ্যে ক্লিক করুন।


apply-for-nid-bangladesh

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার আবেদন

এখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি থাকে , পেশা ও ধর্ম বাছাই করুন। অন্য তথ্যগুলো সম্ভব হলে দিতে পারেন, না দিলেও কোন সমস্যা হবেনা।

এরপর ৩য় অংশ ঠিকানা অপশনে যান এবং আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ভাল ভাবে দেখে বাছাই করুন।

apply-for-nid-bangladesh


আপনার অবস্থানরত দেশ বাছাই করুন। তারপর আপনি বর্তমান নাকি স্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হতে চান সেই ঠিকানার পাশে (এই ঠিকানায় ভোটার) এর পাশে টিক দিন।

  • বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করুন এবং ভোটার এরিয়া নির্বাচন করুন।
  •  এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।

৩. কাগজপত্র আপলোড ও আবেদন জমা

  • এ ধাপে আপনার অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজগুলোর স্ক্যানড কপি বা ছবি আপলোড করতে হবে না।
  • নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
  • আপনার আবেদনের বিস্তারিত তথ্যসমূহ পুনরায় যাচাই করে নিন যাতে কোন ভুল না থাকে।
  • তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি নিশ্চিত করুন ও জমা দিন।

অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হলে, ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে A4 সাইজ কাগজে প্রিন্ট করে নিন।ধরুন আপনি সিলেট জেলার ভোটার হয়ে থাকলে সিলেট জেলা নির্বাচন নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে আপনি যে এলাকায় ভোটার হচ্ছেন সে এলাকার নির্বাচন অফিসে আবেদনটি অন্যান্য কাগজপত্র সহ আবার জমা দিন। ব্যস, আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ।

ধাপ ২- ভেরিফিকেশন

আপনার আবেদনটি উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিস যাচাই বাছাই করবে। যাচাই করার জন্য আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারে তাই সঠিক ভাবে তথ্য দিবেন।

ধাপ ৩- বায়োমেট্রিক প্রদান

উপরে উল্লেখিত কাজগুলো যদি সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে বায়োমেট্রিক এর জন্য কল করতে পারে তখন আপনি আবেদনটি যাচাই শেষে আপনার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ (Biometric Information) দিয়ে আসবেন। এর ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলেই আপনি অনলাইন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

ধাপ ৪- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

এরপর উপরে উল্লিখিত সব বিষয়ে যদি ঠিকঠাক থাকে সকল তথ্য ঠিক হবে দিয়ে থাকেন তাহলে তারা যাচাই-বাছাই শেষে আপনাকে আবেদনটি অনুমোদিত হলে, আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাবেন যে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে।

  • আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা আপনি আপনার NID Application System এর ড্যাশবোর্ড থেকে দেখতে পারবেন।
  • আবেদনটি অনুমোদিত হলে, ড্যাশবোর্ড এর ডান পাশ থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরো পড়তে পারেন,

  1. জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম ২০২২ - Jonmo Nibondhon Batil
  2. জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করার নিয়ম ২০২২ - birth registration everify bdris gov bd
  3. পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়ম

আবেদন করতে আপনার কোন অসুবিধা বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। যতটা পারে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। 

নতুন ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর

  • আমি পূর্বে যথাসময়ে ভোটার হতে পারিনি, এখন কিভাবে ভোটার হব?
  • আপনি যে কোন সময়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

  • আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?

  • উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

  • নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)

  • ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

  • ভোটার তালিকার ডাটাবেজে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার সুযোগ নাই।


জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কে আরো জানতে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন। আপনার সমস্যা সম্পর্কে আমাদের বলতে পারেন কমেন্ট এর মাধ্যমে কমেন্ট করুন যতটা পারি  সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url