অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম - anyupay.com

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে নতুন নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম (Jonmo Nibondhon Form Online) পূরণ করতে কি কি লাগবে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো।
 
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম



অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন 2023 – New Birth Registration Application

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন হাতে লেখার দিন শেষ বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায়না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরন করতে হবে।

নতুন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে নতুন  শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে সেটা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।তা না হলে অনেক ঝেমেলা  আবার, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং অধিক ঝামেলা পোহাতে হয়।নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন, সংশোধন ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেতে নিচের দেওয়া ছবি তে ক্লিক করুন  

জন্ম নিবন্ধন ফি এর তালিকা

জন্মের 45 দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা দায়িত্ববান অভিভাবকের কর্তব্য। অনেকেই বয়স কমানোর চেষ্টা করেন, এটা করা ঠিক নয়, জন্ম যদি ভুল বা মিথ্যা দিয়ে শুরু হয়, তাহলে জন্মের শুরুটা হয় মিথ্যা দিয়ে। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে চাকরি বা রিজিক আল্লাহ তায়ালার হাতে, তবে কয়েক বছর পরে জন্ম হলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে এমনটা ভাবা ঠিক হতে পারে না।

তবে আজ আমরা জানবো জন্ম নিবন্ধন ফি কত? হ্যাঁ জন্ম নিবন্ধন ফি এবং মৃত্যু নিবন্ধন ফি একই হারে প্রদান করতে হবে। আপনার জন্ম শংসাপত্র হোক বা না হোক অনলাইনে এখন যেকোনো মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে, আপনাকে প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন করতে হবে এবং তারপরে আপনি আপনার মৃত্যু নিবন্ধন করতে পারবেন।

তাই সম্পূর্ণ জন্ম নিবন্ধন তা প্রাপ্তবয়স্ক হোক বা শিশু। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, 2017-এর বিধি 23-এর উপ-বিধি (7) অনুসারে, সরকার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফি নিম্নরূপ সংশোধন করেছে। তারপরে ফি পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি।
  • জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত বিনামূল্যে একজন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে।
  • জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন থেকে ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ২৫ টাকা ফি দিয়ে দেশে নিবন্ধন করা যাবে।
  • জন্ম বা মৃত্যুর 5 (পাঁচ) বছর পরে, যে কোনও ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য (50 টাকা ফি দিয়ে) দেশে নিবন্ধন করা যেতে পারে।
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা।
  • জন্মতারিখ, পিতার নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ব্যতীত অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করলে ৫০ টাকা।
  • বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় তথ্য সংশোধনের পর মূল সার্টিফিকেট বা সার্টিফিকেটের কপি সরবরাহ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
  • 50 টাকা ফি জমা দিয়ে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় ডুপ্লিকেট সরবরাহ পাওয়া যাবে।
  • জন্ম নিবন্ধনের ফির পরিমাণ জানতে পড়ুন

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন অবশ্যই অনলাইন থেকে করতে পারবেন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।তা হলে আশা করা জায় ঘরে বসে আপনিও করতে পারবেন

  1. আবেদনকারীর সঠিক তথ্য
  2. শিশুর বয়স সীমা  ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলে
  3. নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
  4. পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information (NID)
  5. স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address

আমাদের আর্টিকেল টি পাবেন গুগল নিউজ  পাবলিকেসনে

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে 2023

প্রথমত ধাপ  ১- আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ | জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করেই অনলাইনে আবেদন করবেন। এতে আবেদন করার সময় নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য নিম্মোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্টসমূহ প্রয়োজন হবে।

যদি শিশুর বয়স সীমা ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ যা যা লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হল

জন্ম-নিবন্ধন-আবেদন-ফরম-পূরণ-করার-সঠিক-নিয়ম


  1. ইপিআই (টিকা) কার্ড EPI ইপিআই) হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচি যার লক্ষ্য সারা পৃথিবীর সকল শিশুকে এ কর্মসূচির অধীন নিয়ে আসা
  2. পিতা ও মাতার   ডিজিটাল  জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি (সেখানে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি তে থাকতে হবে ) কপি
  3. পিতা ও মাতার NID Card এর কপি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  4. বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ থাকতে হবে 
  5. আবেদনকারীর পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে
জন্ম-নিবন্ধন-আবেদন-ফরম-পূরণ-করার-সঠিক-নিয়ম

শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ

  1. ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  2. পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর কপি (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক)
  3. পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বা NID Card এর কপি 
  4. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  5. বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  6. আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর অবশ্যই দিতে হবে
  7. আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় অবশ্যই ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে।

৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ

জন্ম-নিবন্ধন-আবেদন-ফরম


  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী সিল স্বাক্ষর সহ প্রত্যয়ন পত্র  জমা দিতে হবে 
  • সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
  • অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে  জানতে 

পরবর্তী  ধাপ ২- নতুন নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা

অনলাইনে নতুন আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের ছবির মত একটি পেইজ পাবেন।

  • জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ
  • আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন।
  • নতুন জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়মজ

ধরুন নিজ এলাকা ভিত্তিতে যে  ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
নতুন নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা


আপনি যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে এটি নির্বাচন করুন

 

নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।

দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান, তবে এটি নির্বাচন করুন

যদি নামের ৩টি অংশ থাকে যেমন মহাম্মাদ আইউব আলী 

  •  ১ম  অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন মহাম্মাদ  এবং শেষ ২অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন আইউব আলী এভাভে লিখবেন 

  • যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ আইউব নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন আইউব

  • একইভাবে Muhammad   Ayub Ali  প্রথম অংশে লিখবেন Muhammad  এবং শেষ ২অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন Ayub Ali  ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।

সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

পরবর্তী  ধাপ ৩- পিতা ও মাতার সঠিক তথ্য – Father’s and Mother’s Information

  • এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর সর্বনিম্ন 17 অক্ষর হতে হবে ও জাতীয়তা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ

  • পরবর্তী ধাপে এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি কোন এডিট করতে পারবেন না।

  • সেজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা। 

জন্ম নিবন্ধন যাচাই

তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।

উল্লিখিত থ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে  ক্লিক করুন।

পরবর্তী  ধাপ ৪- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address

এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন। 

জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম

এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম 

স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে টিক চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল টিক বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন। 

  • অন্য ঠিকানাথাকলে, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
  • নতুন জন্ম নিবন্ধন ফরম এখান থেকে সংগ্রহ করুন

চূড়ান্ত ধাপ ৫- আবেদনকারীর তথ্য 

আবেদনকারীর তথ্য


এ  পর্যায়ে যিনি এই নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন তার অভিভাবক যেমন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।

এছাড়াও আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন।  অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

পূর্বের সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন

এবং সফলভাবে ফরমটি সম্পন্ন হলে বা সাবমিট হলে আপনি প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে হার্ড কপি টি  সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।

পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে। 

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শ ও টিপস পেতে দেখুন আমাদের সাইট এ অনলাইন নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

  1. নতুন জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
  2. নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়।
  3. নতুন জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন 

দ্বিতীয়  প্রশ্নের উত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন

ত্রিতিও  প্রশ্নের উত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন

সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম – New Jonmo Nibondhon Form Online

অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আমাদের অনেকেই জানেন না ।জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এই ব্লগের www.anyupay.com জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম  এই পোষ্ট এ  সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম।চলুন দেখে নেওয়া যাক অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?

শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, অথবা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে। 

জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?

উত্তরে বলবো না জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। যদি করেন তা হলে স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।

কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে হয়?

কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন তা বিস্তারিত দেখতে পড়ুন – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?

উত্তরে বলবো না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।

পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?

২০২২ সালের নতুন নীতিমালা অনুজায়ি ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?

অবশ্যই হবে পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অনুমোদিত  ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি  মনজুর  করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পিন্ড

উপরি উল্লিখিত ৫টি ধাপ বা প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ বা ফেক ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ বা ফেক হিসাবে প্রতীয়মান হয়। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ /১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।

#online child registration
#application for date of birth
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url