জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম - Online Birth Certificate Correction
জন্মগ্রহণের পর আপনার অধিকার আছে সঠিক জন্ম নিবন্ধন পাওয়ার। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন কপি টি হাতে পাওয়ার পর দেখেন আপনার জন্ম নিবন্ধন টি ভুল রয়েছে মাথা গরম হয়ে গেল তাইনা ।ভাবছেন সঠিক ভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম। আপনার জন্ম নিবন্ধনে ভুল রয়েছে? কোন ব্যাপার না। জন্ম নিবন্ধনে কোন ভুল থাকলে অনলাইনেই তা আবদনের মাধমে সংশোধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ২০২২ সালের আপডেট সব তথ্য, কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায়,তার বিস্তারিত এবং কিভাবে আবেদন করবেন বিস্তারিত নিয়ে আজকের আলোচনা। এনি উপায় ডট কম মনে করে পুরো আর্টিকেল ভাল করে পড়লে আপনার উপকারে আসবে।তাহলে সুরু করা যাক
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভাল যে, আপনারা অবশ্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসের নিয়ম সম্পর্কে অবগত আছেন। সরকারি ফি যাই থাকুক না কেন আপনাকে আনুমানিক ১ টি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ লাগতে পারে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য এবার জেনে নেয়া যাক জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি কাগজ লাগে। সংশোধনের ধরণ এবং বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্রের প্রয়োজন লাগতে পারে।
আপনার জন্ম নিবন্ধনে নাম সংশোধনের জন্য একইভাবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ সাবমিট করলেই ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।
জন্ম নিবন্ধনে নিজের নাম সঠিক ভাবে সংশোধন করার জন্য বয়স ও ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।সে ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে নাম সংশোধনের জন্য, টিকার কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেকসময় টিআইএন সার্টিফিকেট প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করার প্রয়োজন হয়।
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধনে পিতাএবং মাতার নাম সংশোধন আপনার জন্ম নিবন্ধনে পিতা এবং মাতার নাম সংশোধন করা পরিস্থিতি ভেদে সহজ বা কঠিন হতে পারে সেজন্য আপনার
১ম ধাপে আপনাকে যা করতে হবে তা হলঃ যদি আপনার বাবা অথবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকে অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন থাকে, তখন প্রথমে দেখতে হবে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন সঠিক আছে কিনা। যদি জন্ম নিবন্ধন সঠিক না থাকে, আগে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে। সঠিক থাকলে, কিছু করতে হবেনা
২য় ধাপে আপনাকে যা করতে হবে তা হলঃ আপনার জন্ম নিবন্ধন করার সময় যদি পিতা/মাতার নিবন্ধন নম্বর দিয়ে থাকেন, তাহলে অটোমেটিক ভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধনে সংশোধিত নাম দেখাবে। আপনি জন্ম নিবন্ধনটি পুনমুদ্রণ করার আবেদন করে পুনঃমুদ্রণ করিয়ে নিলেই হবে।
আর যদি জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনার সঠিক জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাচ করতে হবে। ঠিক করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম অবশ্যই দেখা যাবে।
তাদেরখেত্রা বলবো যাদের পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাই। না থাকলে ২ ধরণের আবেদন হতে পারে। তাঁরা জীবিত থাকলে এক ধরণের আবেদন আবার তাঁরা মারা গেলে ভিন্ন ধরণের আবেদন।এবার আসুন দেখি কিভাবে কি করতে হবে
পিতা/মাতা মৃত হলে তাদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে, তাঁদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর করা না থাকে এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পর হয়, তখন সরাসরি আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করে পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে তা হলে সমস্যা হবে না ।
তবে, বলে রাখা ভাল আপাতত এই ধরণের আবেদনসমূহ সরাসরি অনলাইনে করা যাচ্ছে না। তাই এই সমস্যার জন্য তাদের সরাসরি নিবন্ধকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন তারা তা সমাধান করে দিবে।
সঠিক ভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করতে হলে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে থাকতে হবে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করতে, সংশোধিত তথ্য যুক্ত করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর আপনাকে শুনানীর জন্য ডাকবে। তখন আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে দেখানোর পর আবেদন অনুমোদন করা হলেই। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন হবে।
আপনাকে সংশোধনের আবেদন করার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে ঠিক করতে হবে যে এটি অনলাইন কিনা। সঠিক জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
প্রথমে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে যা করতে হবে। তা হল এখানে নিচের ইমেজ এর মত দেখতে পাবেন একটি পেইজ আসবে। বিভিন্ন মেন্যু থেকে।আপনার বিষয়ের মেনু জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন মেন্যুতে ক্লিক করুন।
এ পর্যায়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের তথ্য বাছাই করুন এ পর্যায়ে আপনি যে তথ্যসমূহ সংশোধন করতে চান তা ফরমে সংযোজন করে আপনি যেভাবে চান সেভাবে শুদ্ধ তথ্যটি লিখুন। নিচের ছবিতে দেখুন কিভাবে সংশোধন করার জন্য তথ্য যুক্ত করবেন। মনে করুন আপনি বাংলা নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে বিষয় এর পাশে ড্রপডাউন মেনু থেকে নাম বাংলায় সিলেক্ট করুন। এভাবে আপনি যেই যেই তথ্য সংশোধন করতে চান, তা এখানে ক্লিক করে সংযোজন করুন।
নিচের ছবিতে জেভাবে আছে দেখুন আমি ৩টি তথ্য এখানে সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি আবেদনের কারণ হিসেবে ”ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে” এটি সিলেক্ট করুন। জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডার থেকে আপনার জন্মসাল, মাস ও দিন তারিখ সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর একটু নিচের দিকে স্ক্রোলিং করুন। এখানে আপনার জন্মস্থান, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার জেলা-উপজেলা সিলেক্ট করুন। তারপর ঠিকানা বর্তমান জন্ম নিবন্ধনে যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে লিখুন। নিচের ছবিতে দেখুন কি কি তথ্য আপনাকে পূরণ করতে হবে।
আপন বাবা মা না হয়ে আইনগত অভিভাবক হলে অভিভাবক সিলেক্ট করুন। তবে নিজ/ পিতা বা মাতা ছাড়া অন্য কেউ থাকে যেমন, অভিভাবক, নানা-নানী, দাদা-দাদি ফুপি আবেদন করলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। নিচের ছবিতে বিস্তারিত দেখুন।
এটি একটি কার্যকরী প্রশ্ন এই ব্যাপারে আমরা পুরো আর্টিকেলটার মধ্যে উল্লেখ করেছি এছারা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন https://bdris.gov.bd/br/correction. জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন মেন্যুতে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন। এপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করুন এবং সংশোধনের আবেদনপত্রটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করুন। আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ও ফি সহ জমা দিন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন, নতুন করে কত টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে তা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করে দেখান হবে আসুন নিচের চার্ট টি ফলো করি
সংশোধনের ধরণ |
দেশের জন্য |
বিদেশে জন্য |
তথ্য সংশোধনের জন্য ফি |
১০০ টাকা |
২ ডলার |
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতারপূর্ণ নাম, মাতার পূর্ণ নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য |
৫০ টাকা |
১ ডলার |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ |
বিনা ফিতে |
বিনা ফিতে |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের কপি সরবরাহ |
৫০ টাকা |
১ ডলার |
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি ২০২২
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভাল যে, আপনারা অবশ্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসের নিয়ম সম্পর্কে অবগত আছেন। সরকারি ফি যাই থাকুক না কেন আপনাকে আনুমানিক ১ টি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ লাগতে পারে
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য এবার জেনে নেয়া যাক জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি কাগজ লাগে। সংশোধনের ধরণ এবং বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্রের প্রয়োজন লাগতে পারে।
জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম
- এবারে বলা ভাল জন্ম নিবন্ধনে জন্ম তারিখ সংশোধন বা বয়স সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনাকে উপযুক্ত প্রমাণ সাবমিট করলেই ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই আপনার আবেদন অনুমোদন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্
- জন্ম নিবন্ধনে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য, টিকার কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিআইএন সার্টিফিকেট প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করার প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধন নাম সংশোধন করার নিয়ম
আপনার জন্ম নিবন্ধনে নাম সংশোধনের জন্য একইভাবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ সাবমিট করলেই ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।
জন্ম নিবন্ধনে নিজের নাম সঠিক ভাবে সংশোধন করার জন্য বয়স ও ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।সে ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে নাম সংশোধনের জন্য, টিকার কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেকসময় টিআইএন সার্টিফিকেট প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করার প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি তথ্য সংযোজন
- আপনার পূর্বের জন্ম নিবন্ধন কপিতে কিন্তু ইংরেজি তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। পরবর্তীতে অনলাইন ডাটাবেইজ করার পর ইংরেজি তথ্য সংযোজন করার সুযোগ রাখা হয়।
- ভুলে গিয়াছিলাম বলে রাখা ভাল যে আপনারা যারা এখনো জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি তথ্য সংযোজন করেননি,তারা অনলাইনে আবেদন করে নিজেই ইংরেজি তথ্য যোগ করে নিতে পারেন।
- আপনার যে কোন ধরণের তথ্যের পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজনকে সংশোধন হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই অনলাইনে একটি তথ্য সংশোধনের আবেদন করে এ কাজটি করে নিতে পারেন।
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়ম
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধনে পিতাএবং মাতার নাম সংশোধন আপনার জন্ম নিবন্ধনে পিতা এবং মাতার নাম সংশোধন করা পরিস্থিতি ভেদে সহজ বা কঠিন হতে পারে সেজন্য আপনার
পিতা এবং মাতার নাম সংশোধনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন আবেদন পদ্ধতি রয়েছে। আসুন জানি এগুলো সম্পর্কে।
যাদের পিতা এবং মাতার জন্ম নিবন্ধন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে
১ম ধাপে আপনাকে যা করতে হবে তা হলঃ যদি আপনার বাবা অথবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকে অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন থাকে, তখন প্রথমে দেখতে হবে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন সঠিক আছে কিনা। যদি জন্ম নিবন্ধন সঠিক না থাকে, আগে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে। সঠিক থাকলে, কিছু করতে হবেনা
প্রথম ধাপ করে থাকলে ২ ধাপ অনুসরণ করুন।
আর যদি জন্ম নিবন্ধন করার সময় আপনার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না দিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনার সঠিক জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাচ করতে হবে। ঠিক করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম অবশ্যই দেখা যাবে।
অনেকে প্রশ্ন করে আমার পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নেই
তাদেরখেত্রা বলবো যাদের পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাই। না থাকলে ২ ধরণের আবেদন হতে পারে। তাঁরা জীবিত থাকলে এক ধরণের আবেদন আবার তাঁরা মারা গেলে ভিন্ন ধরণের আবেদন।এবার আসুন দেখি কিভাবে কি করতে হবে
- পিতা/মাতা জীবিত হলে
- পিতা/মাতা মৃত হলে
১। পিতা/মাতা জীবিত হলে যা করতে হবে
১ম ধাপে বলি যদি পিতা/মাতা জীবিত আছেন, তাঁদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর করা না থাকে এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পর হয়, অবশ্যই আগে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন করতে হবে।
২য় ধাপে বলবো তারপর , আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাচ করতে হবে। ম্যাচ করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর আগের হলে বাবা/মার জন্ম নিবন্ধন কপি বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে অনলাইনে সংশোধনের আবেদন করে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করলেই হবে।
২য় ধাপে বলবো তারপর , আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ম্যাচ করতে হবে। ম্যাচ করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে, সেখানে পিতা/মাতার সংশোধিত নাম দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর আগের হলে বাবা/মার জন্ম নিবন্ধন কপি বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে অনলাইনে সংশোধনের আবেদন করে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করলেই হবে।
২। পিতা/মাতা মৃত হলে তাদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে
পিতা/মাতা মৃত হলে তাদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে, তাঁদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর করা না থাকে এবং আপনার জন্ম তারিখ 01/01/2001 এর পর হয়, তখন সরাসরি আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করে পিতা/মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পিতা/মাতার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে তা হলে সমস্যা হবে না ।
তবে, বলে রাখা ভাল আপাতত এই ধরণের আবেদনসমূহ সরাসরি অনলাইনে করা যাচ্ছে না। তাই এই সমস্যার জন্য তাদের সরাসরি নিবন্ধকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন তারা তা সমাধান করে দিবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
সঠিক ভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করতে হলে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে থাকতে হবে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করতে, সংশোধিত তথ্য যুক্ত করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর আপনাকে শুনানীর জন্য ডাকবে। তখন আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে দেখানোর পর আবেদন অনুমোদন করা হলেই। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন হবে।
আপনাকে সংশোধনের আবেদন করার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে ঠিক করতে হবে যে এটি অনলাইন কিনা। সঠিক জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
প্রথমে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে যা করতে হবে। তা হল এখানে নিচের ইমেজ এর মত দেখতে পাবেন একটি পেইজ আসবে। বিভিন্ন মেন্যু থেকে।আপনার বিষয়ের মেনু জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন মেন্যুতে ক্লিক করুন।
নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য বের করুন
ডায়লগ বক্সে আপনার ১৭ ডিজিটের নিবন্ধন সঠিক ভাবে নম্বর লিখুন ও জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে আপনার নিবন্ধন তথ্য খুঁজে নিন। যদি আপনার নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিটের না হয়। আপনি যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধন করেছেন, সেখানে যোগাযোগ করে সঠিক নম্বরটি জেনে নিন। অথবা, নিজেও আপনার ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি কৌশল ব্যবহার করতে হবে। অনুসন্ধান বা Search বাটনে ক্লিক করার পর নিচের মত আপনার নিবন্ধন এন্ট্রিটি দেখতে পাবেন। এখানে নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করুন এবং কনফার্ম করুন।
নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা বাছাই
পরবর্ধাতী ধাপে আপনি নিবন্ধন কার্যালয় বাছাই করতে হবে আপনার সুভিধা মত (আপনি যে ইউনিয়ন বা পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন)। এখানে, আপনার দেশ, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন বা উপজেলা সিলেক্ট করে আপনি যে পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন তা বাছাই করুন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের তথ্য বাছাই করুন
সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের কারণ দিন
নিচের ছবিতে জেভাবে আছে দেখুন আমি ৩টি তথ্য এখানে সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি আবেদনের কারণ হিসেবে ”ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে” এটি সিলেক্ট করুন। জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডার থেকে আপনার জন্মসাল, মাস ও দিন তারিখ সিলেক্ট করতে হবে।
ঠিকানা ঠিক করে লিখুন
সঠিক ভাবে অনলাইনে আবেদন জমা ও প্রমাণপত্র আপলোড
আপনার সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম পূরণ শেষে যিনি আবেদন করছেন অর্থাৎ আপনার যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে। যদি আপনি না করে থাকলে যে করেছে তার নিজের যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে তার পর আর যদি আপনি নিজে নিবন্ধন সংশোধন করেন, নিজ সিলেক্ট করুন। অথবা, আপনার সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন করলে পিতা/মাতা সিলেক্ট করুন।
আপন বাবা মা না হয়ে আইনগত অভিভাবক হলে অভিভাবক সিলেক্ট করুন। তবে নিজ/ পিতা বা মাতা ছাড়া অন্য কেউ থাকে যেমন, অভিভাবক, নানা-নানী, দাদা-দাদি ফুপি আবেদন করলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। নিচের ছবিতে বিস্তারিত দেখুন।
এরপর সবুজ বাটন এ সংযোজন বাটনে ক্লিক করে, প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের স্ক্যানিং করা কপি আপলোড করবেন। আপনার মোবাইলে তোলা ছবি দিলেও দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ছবি যেন সোজাসুজি হয়। কোন পাশ বড় ছোট, আশে পাশে অন্ধকার যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে । এরপর পেমেন্ট অপশন বাটনে অবশ্যই, ফি আদায় সিলেক্ট করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদনটি জমা দিন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করুন
জন্ম নিবন্ধন আবেদন জমার পর, আপনি আবেদনের একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা রেফারেন্স নম্বর পাবেন। অবশ্যই এটি সংগ্রহ করে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপিতে লিখে দিন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিন। এটি প্রিন্ট করে আপনার যেটি অর্থাৎ নিবন্ধকের অফিসে,- ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অবস্থা
সঠিক ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকেই জানতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও জন্ম তারিখ লাগবে। সঠিক
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অবস্থা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদনের অবস্থা জানার জন্য ভিজিট করবেন এই সাইট এ - https://bdris.gov.bd/br/application/status । আবেদনের ধরণ সিলেক্ট করুন। আ্যপ্লিকেশন আইডি দিন ও জন্ম তারিখ বাছাই করুন। সবশেষে দেখুন বাটনে ক্লিক করে আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।
রিলেটেড পোস্টঃ
সঠিক জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর
এখন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন আবেদন করেছি বর্তমান অবস্থা কিভাবে জানব?
উত্তরে বলবো অনলাইন আবেদন করার পর এপ্লিকেশন আইডি ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অবস্থা জানতে পারবেন। এজন্য ভিজিট করুন
https://bdris.gov.bd/br/application/status
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে সংশোধন করব?
এটি একটি কার্যকরী প্রশ্ন এই ব্যাপারে আমরা পুরো আর্টিকেলটার মধ্যে উল্লেখ করেছি এছারা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন https://bdris.gov.bd/br/correction. জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন মেন্যুতে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন। এপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করুন এবং সংশোধনের আবেদনপত্রটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করুন। আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ও ফি সহ জমা দিন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
এবারো বলবো জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধন করতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ কর্মদিবস লাগতে পারে।কার্যদিবস বলতে ৩দিন না পাঁচদিন সাতদিন এভাবে না সরকারি ছুটি ছাড়া দিন কে বোঝানো হয়
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম কোথায় জমা দিতে হবে?
এটি একটি অত্তান্ত কার্যকরী প্রশ্ন অনলাইনে আবেদনের পর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরমটি আপনার এলাকা ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।
আজ এ পর্যন্তই আর পরবর্তীতে আপনাদের কোন একটা সময়ে সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হব ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না