অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও খরচ 2022
আজ আমরা আলোচনা করব ই-পাসপোর্ট বা ডিজিটাল পাসপোর্ট নিয়ে ই-পাসপোর্ট হলো ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে সাধারণত একটা ইলেকট্রনিক চিপ লাগানো থাকবে যার মাধ্যমে পাসপোর্টধারীর সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা থাকে পাসপোর্টের একাধিক কাগজ গুচ্ছ বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বলেই নতুন ই-পাসপোর্ট সূচনা ঘটেছে সারা বিশ্বে। ই পাসপোর্ট এর ভিতরেই থাকছে পাসপোর্টধারীর দশটি আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের স্ক্যান। এছাড়াও এই ই-পাসপোর্টে পাসপোর্টধারীর তিন রকমের ছবি ও সংরক্ষণ করা হয় যাতে তার পরিচয়ে কোন রকমের ব্যাঘাত না ঘটে।
তাই অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না এবং ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। আবেনন কারীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র(NID) অথবাঅনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী, নাম, পিতা-মাতার নাম ও অন্যান্য তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
আপনাকে আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ই পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম কানুন জেনে নিতে হবে । এবং কিভাবে আপনি নিজেই আবেদন করবেন তা ধাপে ধাপে দেখানো হবে
এরপর আপনাকে আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির password যেন আপনার জানা থাকে । জিমেইল আইডি খুলতে না পারলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন কারণ জিমেইল আইডির পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না। ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে সেটি পরিবতন করে নিতে পারেন।
আপনার ইমেইল টি অথবা জিমেইল আইডি লিখুন ও নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন। ক্যাপচা আসলে তা ফিলাপ করুন
এই পর্যায়ে আবেদনকারীর বা আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং Save and Continue তে ক্লিক করুন।
উল্লেখ্য যে, যদি আবেদনকারীর বা আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে আবার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যদি আবেদনকারীর বা আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।
তাছাড়া, আবেদনে কোন প্রকার ভুলের কারণে যদি আবেদন বাতিল করতে চান, তা বাতিল না করলেও পারেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব ভুল সংশোধন করে পাসপোর্ট আবেদন এনরোলমেন্টে দিতে পারবে। এজন্য আপনার ভুলের ব্যপারে অফিসে অবগত করুন।
আপনার MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সব থেকে বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন। তা সমাধান করে নিতে পারেন
আপনি চাইলে দালাল ছাড়া নিজেই নিজের পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার একটি ফোন বা কম্পিউটার থাকে। আমি আপনাদের দেখাব অনলাইনে ই পাসপোর্ট ফরম কিভাবে (Bangladesh Passport Online Form) পূরন কিভাবে করবেন এবং কি কি লাগবে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আপনাদের জানাব। আশা করি ধৈর্য্য সহকারে পোস্ট পড়লে আশা করি আপনি আপনার অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। এবং আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদনের করতে কি কি লাগে
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদনের জন্য খুব বেশি কাগজপত্রের দরকার হয় না এবং সত্যায়িত করানোর জন্য তেমন কাউকে প্রয়োজন হয় না। যদি আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার যা যা লাগবে তা নিচে আলোচনা করা হলঃ
- আবেদনকারীর আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery
- আবেদনের কপি
- জাতীয় পরিচয়পত্র আথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- ঠিকানার প্রমাণপত্র স্বরূপ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- রিনিউ এর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- আবেদনকারীর পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
- আবেদনকারীর পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
- আবেদনকারীর নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নির্দেশনাবলী
যে সব নির্দেশনাবলী পাসপোর্ট আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ও যে সব নিদের্শনাবলী অনুসরণ করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে যদি কোন প্রকার ভুল করে থাকেন তার জন্য আপনাকে পরে বেশ ভোগান্তি পেতে হবে আপনাকে।অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করার নিয়ম
তাই অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না এবং ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। আবেনন কারীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র(NID) অথবাঅনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী, নাম, পিতা-মাতার নাম ও অন্যান্য তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
আপনাকে আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ই পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম কানুন জেনে নিতে হবে । এবং কিভাবে আপনি নিজেই আবেদন করবেন তা ধাপে ধাপে দেখানো হবে
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২২
প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করছে কিনা। এখানে দেখে নিতে পারবেন আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে কিনা। আঞ্চলিক ই পাসপোর্ট অফিসসমূহ।
ই পাসপোর্ট আবেদনের করতে কত টাকা লাগবে
এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় জেনেছেন ই-পাসপোর্ট কি তাহলে এবার জানি এই পাসপোর্ট এর খরচ সম্পর্কে পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ অনুসারে পাসপোর্ট এর ফি’র পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের পাসপোর্টের ফি’র পরিমান জানতে ক্লিক করুন
আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন
ভিজিট করুর- E-passport application. আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম যানতে আপনাকে প্রথমে Directly to online Application থেকে আপনি ক্লিক করুন তারপর নিচের পেইজ আসবে। এখানে আবেদনকারীর অর্থাৎ আপনার জেলা ও পুলিশ থানার নাম সিলেক্ট করুন।এবং তথ্য গুলো পুরন করুনএরপর আপনাকে আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির password যেন আপনার জানা থাকে । জিমেইল আইডি খুলতে না পারলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন কারণ জিমেইল আইডির পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না। ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে সেটি পরিবতন করে নিতে পারেন।
আপনার ইমেইল টি অথবা জিমেইল আইডি লিখুন ও নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন। ক্যাপচা আসলে তা ফিলাপ করুন
how to apply for e passport
ধাপ ২: ইমেইল ভেরিফিকেশন
এই ধাপে আপনাকে পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে। সেখান থেকে আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পুরন করার পর আপনি মানুষ না রোবট তা পরীক্ষা করার জন্য আপনার দেওয়া মেইল এ একটি লিঙ্ক পাথাবে সেতি ভেরিফাই করার পর আপনাকে পুনরায়ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
উল্লেখ্য যে, যদি আবেদনকারীর বা আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে আবার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যদি আবেদনকারীর বা আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।
অনলাইনে পাসপোর্ট করার নিয়ম
- মনে রাখবেন যদি আবেদনকারীর বা আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No, I don’t have any previous/ handwritten passport.আবেদনকারীর বা আপনার Present Address ও Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বক্সে টিক দিন।
- এরপর আপনার পিতা মাতার নাম তাদের জাতীয় পত্র অনুসারে লিখুন। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে লিখুন।
- জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।
- এবার আপনার পাসপোর্টের ধরন, পাতা ও ডেলিভারী সাধারণ বা জরুরী বাছাই করুন।
- সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
ই পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট
- আবেদনকারীর বা আপনার আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন। 1) Application Summery, 2) Online Registration Form. এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।
- Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।
- আপনার ই পাসপোর্টের ফি বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসেই কিভাবে প্রদান করবেন এখানে দেখুন Passport fee by bKash
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
অনলাইনে আবেদনকারীর ই পাসপোর্টের আবেদন করা হলে, আপনি নিজে থেকে আবেদন বাতিল করার কোন সুযোগ নেই।আবেদনকারীর আবেদন বাতিলের জন্য আপনি আপনার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে পারেন।তাছাড়া, আবেদনে কোন প্রকার ভুলের কারণে যদি আবেদন বাতিল করতে চান, তা বাতিল না করলেও পারেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব ভুল সংশোধন করে পাসপোর্ট আবেদন এনরোলমেন্টে দিতে পারবে। এজন্য আপনার ভুলের ব্যপারে অফিসে অবগত করুন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- আবেদনকারী অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর, আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনি অনলাইন থেকেই জানতে পারবেন।
- অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়মটি খুবই সহজ। ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এখানে- ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
- কিভাবে ই পাসপোর্ট চেক করবেন এবং বিভিন্ন পাসপোর্ট স্ট্যাটাস এর অর্থ ও ব্যাখ্যা জানতে পড়ুন – পাসপোর্ট স্ট্যাটাস ডিটেলস
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম- MRP to E Passport
- যদি আপনার একটি এমআরপি পাসপোর্ট থাকে যার মেয়াদ উত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আপনি এটিকে রিনিউ করে ই পাসপোর্ট পেতে পারেন।
- আপনাকে এজন্য রিনিউ করার জন্য কোন আবেদন করতে হবেনা, আপনাকে নতুনভাবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে ID Documents অপশন থেকে শুধু মাত্র আপনার পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য দিবেন।
এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সুবিধা
আপনার MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সব থেকে বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন। তা সমাধান করে নিতে পারেন