বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৩ (নতুন নিয়মে)
ভাবছেন কিভাবে বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করা যায় যখন বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তখন আপনার এনআইডি ছিলো না কিন্তু এখন আছে আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করে । Airtel সিমে বিকাশ একাউন্ট টি নিয়ে যেতে ।
এখন ভাবছে এর সমাধান কি আসলে ব্যক্তির নিবন্ধিত সিম কার্ড দিয়ে অন্য ব্যক্তির বিকাশ একাউন্ট খোলার নতুন কোন বিষয় না। তবে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নিজের নাম্বার বিকাশ একাউন্ট করা সবচেয়ে বেশি জরুরি বা নিরাপদ । কারন কোনো কারণবশত যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করা জরুরী মনে করেন তাহলে আপনি তা সহজেই করতে পারবেন।
গ্রাম থেকে শহর বলা বাহুল্য যে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হচ্ছে বিকাশ। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা তাদের সেবার প্রসার ঘটিয়ে চলেছে। তাই আপনি চাইলে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে আপনি সেটার সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতে পারেন। একাউন্ট খুলতে মোবাইল নাম্বারে পাশাপাশি একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্ভব।
এবার আপনি আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ইচ্ছে মত যে কোন সিম ব্যবহার করে নতুন করে বিকাশ একাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন।
আমাদের নিজের এনআইডি কার্ড না থাকলেও অন্যের এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলে ব্যবহার করে থাকি। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার জন্য নিজের এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আগে থেকেই আমাদের বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকার কারণে আমরা নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে সেই নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারি না।
তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে।
বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন কেন করবেন?
অনেক সময় কার বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় অথবা এনআইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড না থাকায়। বিকাশ এর সুবিধা গুলো পাবার জন্য আমরা অন্যজনের এন আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকি। এবং তা আমরা ব্যবহার করে অনেক লেনদেন করে থাকি। বিকাশ চায় আপনি সকল লেন দেন নিরাপদে করেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এর নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল প্রাইভেট ব্যাংক এর গ্রাহকগণের তথ্য চাওয়ায় অন্যান্য ব্যাংকের ন্যায় তারা হালনাগাত সুরু করে তাই বিকাশের কাছে কোন আইডি কার্ড বা কার নামে বিকাশ একাউন্ট খুলা হয়েছে সেসকল তথ্য দিতে হয়। আবার বিকাশ একাউন্টের পিন রিসেট করার জন্য আইডি কার্ডের তথ্যের প্রয়োজন হয়, কিন্তু অন্যজনের তথ্য দিয়ে বা এনআইডি কার্ড সাথে না থাকায় আমরা পিন রিসেট সহ বিকাশের আরো জটিল ও সহজ সমস্যার সমাধান করতে পারিনা। সেজন্যই আমাদের বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়।বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
যত ব্যাংক আছে তাদের নিজস্ব কিছু নীতিমালা রয়েছে এবং একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ও রয়েছে তাই বিকাশের মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে এবং কিছু কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে তা পরিবর্তন করতে হয়। তাহলে চলুন আজকে আমরা জানব বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তনের নিয়ম এবং কোন কোন তথ্য দিয়ে আপনি সহজেই বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন তার বিস্তারিত সকল তথ্য।
বিকাশ একাউন্ট ও সিমের মালিকানা ভিন্ন হওয়ার কারণ
আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে যখন ২০১২ সালের প্রথম দিকে আমাদের দেশে ব্র্যাক ব্যাংকের অধীনে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। যার কারণে এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেশে সুপরিচিত হতে শুরু করে। সর্বপ্রথম যখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের যাত্রা শুরু করে তখন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা রাখেনি। কারণ গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে তারা এনআইডি ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে থাকে যাতে বিষয়টি সহজ হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কিছু অসাধু লোক একে অন্যভাবে প্রভাবিত করতে শুরু করে তাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কঠোর হয়। একদল প্রতারক বিকাশকে ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে এবং এই পরিস্থিতি এড়াতে বিকাশ কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্যদিকে, সিম কোম্পানিগুলো ২০১৫ সাল থেকে তাদের হালনাগাদ আকারে মোবাইল নম্বরের সিম নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করেছে। অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ব্যক্তি সিম মালিকানায় কেনা বেচা শুরু হয়। আপনি যদি আপনার বিকাশ যাত্রার শুরুতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন, তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরটি সিমের মালিকানার সাথে নাও মিলতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার সিমের মালিকানা এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে চাইবেন। একইভাবে, অন্য কারও নামে খোলা সিম কার্ডটি আপনার নামে নিবন্ধিত হতে পারে।
তাই বিকাশের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিমটির মালিক ব্যক্তির নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে যে মোবাইল নম্বরটি সিম কার্ড নিবন্ধিত রয়েছে সেই মোবাইল নম্বর দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৩
শুরুতেই আপনাকে জানিয়ে রাখি যে বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিকানা পরিবর্তনের প্রথম শর্ত হল আপনি যখন মালিকানা পরিবর্তন করবেন তখন আপনার বিকাশ ব্যালেন্স 0.00 টাকা হওয়া উচিত অর্থাৎ আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা করা যাবে না। এর পরে আপনাকে আপনার নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে মনে রাখবেন বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিক এবং সিমের মালিককে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে উপস্থিত থাকতে হবে।
সাধারণত আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্থিতি অনুসারে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার দুটি উপায় রয়েছে। এটা ভিন্ন হতে পারে।
- বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন
- বিকাশ একাউন্ট এক এনআইডি (NID) থেকে এনআইডিতে (NID) মালিকানা পরিবর্তন
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন
যদি আপনার মোবাইল নম্বরে রেজিস্ট্রেশন এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন অন্য কোনও ব্যক্তির দ্বারা করা হয় তবে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তার সাথে নিবন্ধিত সিম নম্বরটি অবশ্যই ব্যবহার করুন, আসলে আপনি নিরাপদ থাকবেন।
অনেকবার দেখেছি গ্রামীণ সিমে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে, আপনি আপনার রবি সিমে একাউন্ট ট্রান্সফার করতে চান। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে শুধু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে, তারা আপনার সাথে কথা বলবে সমস্যা সমাধান করে দিবে । এর জন্য আপনাকে নিকটস্থ বিকাশ গ্রাহক কেন্দ্রে যেতে হবে।
সিমের মালিক এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মালিক ভিন্ন হলে বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিক এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মালিককে জাতীয় পরিচয়পত্রের আসল কপি এবং ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সেখানকার কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার পূর্বে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর মুছে দেবেন। অবশেষে আপনাকে একটি নতুন ভাবে বিকাশঅ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিকাশ মালিকানা পরিবর্তন
এক এনআইডি অন্য এনআইডিতে বিকাশের মালিকানা পরিবর্তন আপনি মনে করুন আপনার সিম কার্ডটি আপনার নাম নেই রেজিস্টার করা রয়েছে কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্টটি আপনার বাবা-মা অথবা কোন আত্মীয়র জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে খোলা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে পড়লে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা বিকাশ তাদের গ্রাহকদের জন্য নতুন সেবার ব্যবস্থা করেছে। একজনের এনআইডি থেকে অন্যজনের এনআইডিতে বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তনের জন্য, প্রথমেই বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স 0.00 করে নিন এবং নিচের ধাপ অনুসরণ করুন।
আপনার নিকটস্থ বিকাশ জোনাল অফিসে যোগাযোগ করুন।
বিকাশ একাউন্টের বর্তমান মালিক (যার নামে বিকাশ একাউন্ট) ও সিম কার্ডের মালিক (যার নামে সিম রেজিস্ট্রেশন) উভয় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সহ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যান।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস সেন্টার থেকে আপনার পূর্বের জাতীয় পরিচয় পত্রের মালিকানা সরিয়ে দেওয়া হবে।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস সেন্টার থেকে আপনার পূর্বের জাতীয় পরিচয় পত্রের মালিকানা সরিয়ে দেওয়া হবে।
এবার আপনি আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ইচ্ছে মত যে কোন সিম ব্যবহার করে নতুন করে বিকাশ একাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন।
বিকাশ একাউন্টের এনআইডি কার্ড পরিবর্তন করার নিয়ম
আমাদের নিজের এনআইডি কার্ড না থাকলেও অন্যের এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলে ব্যবহার করে থাকি। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার জন্য নিজের এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আগে থেকেই আমাদের বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকার কারণে আমরা নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে সেই নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারি না।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন
বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন,
- আপনার নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার খুঁজুন।
- তারপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স 0.00 করুন।
- বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিক এবং সিম কার্ডের মালিক উভয়েই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি কপি নিয়ে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যান।
- আপনার তথ্য যাচাই করার পর, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আগের সিম কার্ডের বিকাশ একাউন্ট মুছে দেবেন।
- তারপর আপনার নিজের নামে নিবন্ধিত নতুন সিম কার্ডে আপনার নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলুন।
অনেকেই আছেন যারা মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর ও মালিকানা পরিবর্তন করার বিষয়ে জানতে চান। তাদের জন্য আমাদের বিশেষ নোট এজেন্ট বিকাশ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা নম্বরে এই পরিষেবাটি চালু করেনি বা মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে।
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?
অন্যদিকে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?
এ প্রশ্নটি অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্নের উত্তর হলো যে একটি সিম কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে।