হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২২
আমার প্রশ্ন, আপনার জন্মনিবন্ধন সনদ টি কি হাতে লেখা? আপনার জন্ম নিবন্ধনটি কি অনলাইনে নেই? ভাবছেন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে কি করবেন? এবং কিভাবে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করবেন বা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ব্লগটি মনযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হবে আশাকরি ।
আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা কিভাবে যাচাই করবেন - জন্ম নিবন্ধন যাচাই
হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যদি অনলাইন ডাটাবেইজে পাওয়া না যায়, আপনাকে প্রথমেই নিশ্চিত থাকতে হবে যে, আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিট এবং প্রথম ৪ ডিজিট আপনার জন্ম সাল। নিবন্ধন নম্বরটি সঠিক হওয়া স্বত্ত্বেও নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে পাওয়া না গেলে,আপনাকে নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন কিভাবে করবেন তার পুরো বিষয় দেখে নিন এই পোষ্ট থেকে
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম ২০২২
আপনার পুরাতনজন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম কার্ড টি হাতে লেখা বা প্রিন্ট করা জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল করা নেই? আপনি কি ভেবে দেখেছেন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল না থাকলে কি করবেন, কিভাবে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কপিটি ডিজিটাল করা যায়। আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি ডিজিটাল করার নিয়ম বা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ব্লগটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে আপনিও করতে পারবেন সেটা এনি উপায় ডট কম মনে করেআপনি মনে করেন আপনার বর্তমানে পুরাতন বা হাতে লেখা নিবন্ধন সনদ আর কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছেনা। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অবশ্যই অনলাইনে থাকতে হবে। তাই জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল বা অনলাইন হতে হবে।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম চলুন প্রথমেই জানি কেন আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়নি
আপনি কি জানেন জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না পাওয়া এর প্রধান কারন হলো যে, পূর্বে আমাদের দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার রেজিস্টার বইতে আমাদের জন্ম নিবন্ধন তথ্যসমূহ শুধুমাত্র হাতে লিখে সংরক্ষণ করে রাখতো । ডিজিটাল করার লক্ষে পরবর্তীতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপলোড করার জন্য হাতে লিখা তথ্য সার্ভারে ইনপুট করা হয় ম্যানুয়েলি পদ্ধতিতে। তখন,ভুলবশত কারো তথ্য বাদ পড়ে যেয়ে থাকতে পারে। অর্থাৎ এখন বুঝা গেলো আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না পাওয়া যাওয়া মানেই হলো সার্ভারে ম্যানুয়েলি তথ্য ইনপুট করা হয় নি। এর কারনে আপনার জন্ম নিবন্ধন (হাতে লিখা থাকা সত্ত্বেও) তথ্য অনলাইনে আপনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা। আবার অন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারন হতে পারে আপনার কাছে যে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি আছে তাতে হয়তো যেকোন ধরনের ভুল থাকতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা করার কোন দরকার নেই এক্ষেত্রে আপনার করনীয় হলো, অতিদ্রুত আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা অফিসে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যাটি জানান এবং সমাধান (ভুল ত্রুটি যা আছে তা সংশোধন) করার চেষ্টা করুনজন্ম নিবন্ধন অনলাইনে না থাকলে কি করতে হবে - জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২২
আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে যদি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য খুঁজে পাওয়া না যায়, প্রথমে আপনাকে এর কারণ খুজে বের করতে হবে। যদি আপনি নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনার নিবন্ধন তথ্য অনলাইন ডাটাবেইজে নেই তখন আপনাকে অবশ্যই নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে কেন পাওয়া যায়নি
আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে কেন পাওয়া যায়নি। কার্ড, কি কারনে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না তা নিম্নে আলোচনা করা হল- ইতি পূর্বে আপনি ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভায় রেজিস্টার বইতে আমাদের তথ্যসমূহ হাতে লিখে সংরক্ষণ করা হত। বর্তমানে ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে এর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার এই রেজিস্টার অনলাইন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করে । তাই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপলোড করার জন্য, হাতে লেখা এসব তথ্যগুলোকে হাতে হাতে অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া হয়। তাই তখন, ভুলবশত কারো তথ্য বাদ পড়ে যেতে পারে।
- এমতাবস্থায় হয়তো আপনার তথ্যটি বাদ পড়েছে। সেজন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে আপনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা।
- আরো একটি উল্লেখ যোগ্য কারণ হতে পারে আপনার কাছে যে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি আছে তা হয়তো ভুল করে লিখে দিয়েছে। তাই আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অতবা সিটি কর্পোরেশন অফিসে আপনার সমস্যাটি জানান তা হলে তারা ঠিক করে দিবে ।
আপনাকে দেওয়া হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যদি অনলাইন ডাটাবেইজে পাওয়া না যায়, আপনাকে প্রথমেই নিশ্চিত থাকতে হবে যে, আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিট এবং প্রথম ৪ ডিজিট আপনার জন্ম সাল। নিবন্ধন নম্বরটি সঠিক হওয়া স্বত্ত্বেও নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে পাওয়া না গেলে,আপনাকে নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।
- আপনি কি জানেন পুরাতন ও হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৬ ডিজিটের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ১৬ ডিজিটের নম্বরটি ১৭ ডিজিট করতে হবে।
- আপনি কি জানেন যদি আপনার জন্ম ২০০১ সাল বা তার পর হয়, আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের জন্য আপনার পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইনে থাকতে হবে।
- কারণ সেক্ষেত্রে তাঁদের নিবন্ধন নম্বর আবেদন দিতে হবে এবং তাঁদের নিবন্ধন অনুসারেই তাঁদের নাম আপনার আবেদনে স্বয়ংক্রীয়ভাবে যুক্ত হবে।
- তাই এ ক্ষেত্রে আপনার আবেদনের পূর্বে তাদের টা যাচাই করে নিন আপনার বাবা মায়ের নিবন্ধন অনলাইন করা আছে কিনা। জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা যাচাই করুন- জন্ম নিবন্ধন যাচাই সাইট থেকে
- আপনি কি জানেন আপনার জন্ম ২০০০ সন বা তার পূর্বে হয়ে থাকে, আপনার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন কিভাবে করবেন তার পুরো বিষয় দেখে নিন এই পোষ্ট থেকে
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম
আমি মনে করি পুর বিষয় লেখাটি আপনার উপকারে লাগবে। যদি উপকারে লাগে, দয়া করে এটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরও প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে দেখুন – জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম
রিলেটেড পোষ্ট ঃ
Tags:
#কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়
#পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২২
#নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন
#জন্ম-সনদ ডিজিটাল করার উপায় কী
#হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম ২০২২