আপনার অজান্তেই ওয়াইফাই ব্যবহার করছে - anyupay.com

আপনার অজান্তেই ওয়াইফাই ব্যবহার করছে

Wi-Fi কাকে বলে

একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে তারবিহীনভাবে, যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়াইফাই বলে। যেখানে একটি ডিভাইস থেকে রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি হয় এবং অন্য ডিভাইসে সেই তরঙ্গটির সাথে কানেকশন করে ইন্টারনেট চালানো যায়। WiFi কিভাবে কাজ করে
নেটওয়াক আদান-প্রদানের জন্য ওয়াইফাই এক ধরনের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। ওয়াইফাই ব্যবহার করবার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের একটি ওয়াইফাই ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়। যেগুলোকে ট্রান্সমিটার, রাউটার এবং হাব বলা হয়ে থাকে।

ওয়াইফাই ডিভাইস গুলিতে ব্রডব্যান্ড কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট পাঠানো হয়। যার মাধ্যমে ওয়াইফাই ডিভাইস ইনফর্মেশন রিসিভ করতে পারে।

আপনার অজান্তেই ওয়াইফাই ব্যবহার করছে


Wi-Fi নেটওয়ার্কের উদাহরণ

রাউটারে ডিভাইসএর মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবেশ করানোর পর, সেই রাউটার থেকে যে অনবরত  তরঙ্গটি নির্গত হয়, সেই তরঙ্গের সাহায্যে বিভিন্ন ডিভাইস কানেক্ট করে যে নেটওয়ার্কটি আমরা ব্যবহার করতে পারি সেটা হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক।

যখন আমরা কোনো রাউটার ডিভাইস থেকে কোন মোবাইলে বা ল্যাপটপে কানেকশন ঘটিয়ে থাকি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারি সেটি হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের।

এরপর রাউটার ডিভাইসটি কিছু উপকরণ এর মাধ্যমে, ইনফর্মেশন গুলিকে রেডিও তরঙ্গে কনভার্ট করে। এবং এরপর সে রেডিও তরঙ্গ টিকে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি এরিয়া (WiFi Zone) তৈরি করে।

এরপর ওই এরিয়ার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ডিভাইস যেমন  কম্পিউটার,স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইসের মধ্যে থাকা built in  Wireless Adapter এর মাধ্যমে ওই সিগন্যালটি গ্রহণ করে এবং ওই সিগন্যাল এর সাথে কানেকশন তৈরি করে।

এইভাবে ওয়াইফাই কাজ করে এবং বিভিন্ন ডিভাইস গুলিকে একত্রে করে তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক সঞ্চালন করে।

ওয়াইফাই ব্যবহার কোথায় করা হয়

  • এখনকার দিনে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য একটি স্থানে অনেক ছাত্র ছাত্রী মিলে ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকে।
  • এছাড়া  বড় বড় হোটেল কফিশপ এসব প্রতিষ্ঠানে মানুষদের মনোরঞ্জন করার জন্য এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ দিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়।
  • এবং বড় বড় ট্রেন প্লাটফর্ম এবং এয়ারপোর্টে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • কক্ষন কক্ষন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাজ করবার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার হয়।

Wi-Fi ব্যবহারের সুবিধা

  • Wi-Fi ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়
  • এর সাহায্যে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা যায়
  • ওয়াইফাই ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে খুব সহজেই যে কোন ডিভাইস নির্দিষ্ট ওয়াইফাই জোন এর মধ্যে রেখে কানেক্ট করা যায়।
  • অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় এই ধরনের নেটওয়ার্ক খুব অল্প টাকায় পাওয়া যায়।
  • একটি ওয়াইফাই ডিভাইস এর মধ্যে অনেকগুলো ডিভাইস, একত্রে কানেকশন তৈরি করে ব্যবহার করা যায়।
  • খুব সহজেই ইন্টারনেট একসেস করা যায়।

Wi-Fi ব্যবহারের অসুবিধা

  • ওয়াইফাই ব্যবহারের সবচেয়ে বড় আসুবিধা হলো কেবল হটস্পটগুলোতে এটি ব্যবহার করা হয়।
  • এর কাভারেজ এরিয়া খুব বেশি নয় 
  • সব এলাকায় পাওয়া যায় না।
  • ওয়াইফাই প্রযুক্তির ডাটা চলাচলের গতি খুব একটা বেশি নয়।
  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
  • অজান্তেই ওয়াইফাই ব্যবহার ঝুকি বেশি

অজান্তেই ওয়াইফাই ব্যবহার করছে কীভাবে বুঝবেন 

  • আমরা খরচ কমাতে বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে  ব্যবহার করি রাউটার। আর এই রাউটারের মাধ্যমে আমরা ওয়াইফাই পেয়ে থাকি। রাউটার ব্যবহার করতে সেট করা হয় একটি পাসওয়ার্ড। কিন্তু আপনি পাসওয়ার্ড দেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন উপায়ে আপনার নিজস্ব ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন যে কেউ। কীভাবে বুঝবেন অন্য কেউ আপনার কানেকশন ব্যবহার করছেন কি না

  • আপনার ইন্টারনেট চালাতে চালাতে যদি দেখেন স্বাভাবিকের থেকে স্পিড কম দিচ্ছে, কয়েক দিন ধরে একই অবস্থা কিন্তু এমনটা হওয়ার কোনো কারণ নেই। অর্থাৎ সার্ভারে কোনো সমস্যা নেই। তাহলে এমনটা হতেই পারে যে কেউ আপনার অজান্তে ব্যবহার করছে ওয়াইফাই। 

  • বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করলেও জানতে পারবেন কেউ আপনার ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন কি না।

  • যেসব ডিভাইসগুলো প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেগুলোতে একটি ইউনিক আইপি ও ম্যাক অ্যাড্রেস থাকে। এই অ্যাড্রসের মাধ্যমে রাউটারের কানেক্টেড ডিভাইসের নামও দেখা যায়। সেখানে যদি এমন কোনো নাম দেখেন, যা আপনার একেবারেই পরিচিত নয়। তাহলে বুঝে যাবেন লুকিয়ে কেউ ব্যবহার করছে ওয়াইফাই। তবে নাম না থাকলে কানেক্টেড ডিভাইসের সংখ্যার দ্বারাও বুঝতে পারবেন বিষয়টি।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হচ্ছে বর্তমান প্রযুক্তি। এখন সবার পকেটে পকেটে রয়েছে স্মার্টফোন-ইন্টারনেট প্যাক। অনেকেই প্রায় সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সেই সুবাদেই প্রায় সবার বাড়িতেই রয়েছে ওয়াইফাই। আর করোনাকালে বাসা থেকে কাজ করার জন্য কয়েকগুণ বেড়েছে এর ব্যবহার।

আপনি  যানেন কি ? আপনার Wi-Fi পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Wi-Fi অ্যাক্সেস প্রায় ৩০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত (যেমন ১০০ থেকে ৩০০ ফুট) সীমাবদ্ধ। অনেক রাউটার ১০ টা থেকে সর্বাধিক ৩০ ডিভাইসকে সংযুক্ত করার অনুমতি দেয়। আপনি আরও ডিভাইস যুক্ত করার সাথে সাথে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইদথ দুর্বল হয়ে যায়করার উপায় জানতে চাচ্ছেন

কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার ওয়াইফাই


সহজ যেমন ১২৩৪ এবং ছোট নয়, পাসওয়ার্ড তৈরির সময় চেষ্টা করুন যাতে তা বড় ও কঠিন হয়। যাতে সহজেই কেউ আন্দাজ করতে না পারে আপনার পাসওয়ার্ড এমন যে ১২৩৪৫। নিজের নাম ANYUPAY  মোবাইল নম্বর,০১৭৩৭৭৯৬৫৩৫ জন্মতারিখ ১৯৮১ এমন ব্যবহার না করাই ভালো।

নেটওয়ার্ক কোম্পানির পক্ষ্য থেকে রাউটার সেট করে যাওয়ার পর পালটে ফেলুন লগ ইন তথ্য।

 লুকিয়ে রাখতে পারেন রাউটারের SSID। ফলে কেউ ওয়াইফাই সার্চ করলে নিকটবর্তী অন্যগুলোর অপশন পেলেও আপনারটা পাবে না।

 এ ছাড়া রয়েছে বেশকিছু সফটওয়ার। যার মাধ্যমে অপরিচিত ডিভাইস লগ ইন করলেই টের পাবেন আপনি। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চটপট দেখে নিন লুকিয়ে কেউ আপনার ওয়াইফাই ব্যবহার করছে কি না।






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url