সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় ২০২২
সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় এ প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে বলতে হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আপনার কোনো সিম যদি টানা ১৫ মাস বন্ধ থাকে, তাহলে সেটি আগামী এক মাসের মধ্যে চালু করে নিন। কারণ, যে সিমটি এত দিন ব্যবহার না করে ফেলে রেখেছেন, সেটি আগামী এক মাসের মধ্যে চালু না করলে এর মালিকানা আর আপনার কাছে থাকবে না। সিমের মালিকানা রাখার সময়সীমা বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আপনার অব্যবহৃত সিম কতদিন পর বন্ধ হয়ে যায় বা মালিকানা চলে যায়
সিম কোম্পানি গুলো বিটিআরসি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশে যেমন গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি, টেলিটক এই সকল কোম্পানি গুলো হয় আর বিটিআরসির করার নিয়ম অনুসারে ১টি সিম ৪৫০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাস (৩০ দিনে মাস ধরে) বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায়।বাংলাদেশের সিম কোম্পানি
- এর মধ্যে রবি +৮৮০১৮,
- গ্রামীণফোন +৮৮০১৭
- গ্রামীণফোন +৮৮০১৩,
- বাংলালিংক +৮৮০১৯ ও +৮৮০১৪,
- এয়ারটেল +৮৮০১৬
- এবং টেলিটক +৮৮০১৫
- গ্রামীণ এর জন্য +৮৮০১৩
- বাংলালিঙ্ক এর জন্য +৮৮০১৪
আর একই সিম যদি একটানা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমকে পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। সিম পরিত্যাক্ত ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই সিমের মালিকানা বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ সিম নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত ফেলে রাখলে সেক্ষেত্রে তার মালিকানা খোয়া যাবে।
সিম বন্ধ এবং চালু থাকা কিভাবে বুঝবো
সিম কেনার পরে সেটি ফোনের সিম স্লটের ভিতরে প্রবেশ করার পর অন অবস্থায় থাকা সিম সচল বা চালু থাকাকে বোঝায়। আরও সহজভাবে বললে একটি সিম আপনি ব্যবহার করছেন, সেটি দিয়ে কল করছেন / কথা বলছেন এরকম কিছু।
আর অন্যদিকে সিম বন্ধ থাকা বলতেঃ মোবাইল ফোনে আপনি সিমটি ফোন থেকে খুলে ফেলার পর থেকে যদি ৪৫০ দিনের ভিতরে কখনো সিম অন না করেন, তাহলে সিমটি পরিত্যক্ত বা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। আরও সহজভাবে বললে ”১৫ মাস সিম বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায়”।
রিলেটেড পোস্ট
সিম বন্ধ হওয়ার কারণ
সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন একটি সিম ব্যবহার না করা হলে সেটির মালিকানা ধরে রাখতে বাড়তি ৩০ দিন সময় পাবেন গ্রাহক। অর্থাৎ ৪৮০ দিনের মধ্যে বন্ধ থাকা সিমটি চালু না করা হলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকবে না। এ সময়ের মধ্যে সিম সচল না করা হলে সংশ্লিষ্ট মুঠোফোন অপারেটর সেটি নতুন করে আবার বিক্রি করতে পারবে।
বিটিআরসির মুখপাত্র ও সচিব সরওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় একটি সিম টানা ৪৫০ দিন বন্ধ থাকলে সেটি চালু করতে মুঠোফোন অপারেটররা গ্রাহককে একটি নোটিশ বা সময়সীমা বেঁধে দেয়। সেই সময়সীমার মেয়াদ ৯০ দিন ছিল, সেটি কমিয়ে এখন ৩০ দিন করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সিমটি সচল না করা হলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকবে না।
পরবর্তীতে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ‘০১৭’ নম্বর সিরিজের নম্বর সংকট কাটাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ০১৭ সিরিজের তিন কোটি পুরোনো সংযোগ নতুন করে বিক্রি করতে পারবে গ্রামীণফোন। নতুন সংযোগ বিক্রি করা নিয়ে অপারেটরটি এখন যে সংকটে আছে, এ সিদ্ধান্তে সেই সমস্যা থাকবে না বলে বিটিআরসি মনে করছে।
আর একই সিম যদি একটানা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমকে পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। সিম পরিত্যাক্ত ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই সিমের মালিকানা বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ সিম নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যবহৃত ফেলে রাখলে সেক্ষেত্রে তার মালিকানা খোয়া যাবে।
মোবাইল অপারেটর এর ক্ষেত্রে বিটিআরসি এর নিয়ম অনুসারে ৪৫০দিন বা ১৫মাস (যদি ৩০ দিনে মাস ধরেন) পর অব্যবহৃত সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যেও উক্ত সিম একটিভ করা না হলে তা পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হয়। এতে করে সিম অপারেটর চাইলে উক্ত নাম্বার অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সিমের মালিকানা চলে যাবে।
এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন অপারেটর, অর্থাৎ রবি, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক সিম কতদিন ফেলে রাখলে অব্যবহৃত থাকলে সিমের মালিকানা হারাতে পারেন। সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অব্যবহৃত রবি বা এয়ারটেল সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
এয়ারটেল সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
অব্যবহৃত এয়ারটেল সিম কোম্পানির আওতাধীন থাকার ফলে সিমের ক্ষেত্রে বন্ধ সিমের নিয়ম একই। এয়ারটেল সিম যদি ৪৫০দিন একটানা ফেলে রাখলে বন্ধ থাকে তবে এয়ারটেল সিম অব্যবহৃত হিসেবে বা পরিত্যাক্ত হিসেবে ধারণা করা হয় এবং বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এয়ারটেল বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম
কোনো সিম এর একাউন্ট একটিভ করার মাধ্যমে উক্ত সিম চালু করে সিমে রিচার্জ করাকে বুঝানো হচ্ছে। উল্লেখ্য যে সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার বিষয়টি রবি বা এয়ারটেল গ্রাহককে জানাতে বাধ্যগত নয়, তাই এই বিষয়ে একজন গ্রাহকের নিজ থেকে হিসাব রাখতে হবে। তবে প্রদত্ত সময়ের মধ্যে সিম একটিভ করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে এনআইডি ও সিম কেনার সময় সাবমিট করা কাগজসমূহ সহিত রবি বা এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সিম পুনরায় সচল করার চেষ্টা করতে পারেন।
রবি সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
অব্যবহৃত রবি সিম কোম্পানির আওতাধীন থাকার ফলে সিমের ক্ষেত্রে বন্ধ সিমের নিয়ম একই। রবি সিম যদি ৪৫০দিন একটানা বন্ধ থাকে তবে উক্ত রবি সিম অব্যবহৃত হিসেবে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
রবি বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম
অব্যবহৃত কোনো সিম এর একাউন্ট একটিভ করার মাধ্যমে উক্ত সিম চালু করে সিমে রিচার্জ করাকে বুঝানো হচ্ছে। উল্লেখ্য নিসয় যে সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার বিষয়টি রবি গ্রাহককে জানাতে বাধ্যগত নয়, তাই এই বিষয়ে একজন গ্রাহকের নিজ থেকে হিসাব রাখতে হবে। তবে প্রদত্ত সময়ের মধ্যে সিম একটিভ করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে এনআইডি ও সিম কেনার সময় সাবমিট করা কাগজসমূহ সহিত রবির কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সিম পুনরায় সচল করার চেষ্টা করতে পারেন।
গ্রামীণফোন সিম কতদিন পর বন্ধ হয়ে যায়?
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে ৪৫০দিন একটানা অব্যবহৃত গ্রামীণফোন সিম বন্ধ হয়ে যায় ও গ্রামীণফোন চাইলে উক্ত সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারে অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে। সিমের ইনেকটিভিটি এর মেয়াদ ৪৫০দিন পার হওয়া সময়ের মধ্যে জিপি সিম চালু করা না হলে উক্ত সিমের মালিকানা হারাতে হতে পারে যে কোন মুহূর্তে ।
বাংলালিংক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
টেলিটক সিম কতদিন পর বন্ধ হয়?
অব্যবহৃত টেলিটক যেহেতু সরকার প্রদত্ত সেবা, তাই এটি নিঃসন্দেহে অন্যান্য সিম সহ বিটিআরসি কতৃক প্রদত্ত নিয়ম অনুসরণ করে। কোনো সিম যদি একটানা ৪৫০ দিন বা গড় হিসেবে ১৫মাসের জন্য বন্ধ থাকে তবে উক্ত সিমটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় টেলিটক কতৃপক্ষ। এমনকি তারা সিমটি অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে পারে যে কোন সময় ।
তাই যদি কোন সিম সঠিক ভাবে সক্রিয় রাখতে চান তবে অবশ্য বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে ৪৫০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাসের মধ্যে সিম অন করতে হবে এবং সামান্য কিছু টাকা অর্থাৎ ১০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। আমি আগেই বলেছি ১২/১৩ মাস ধরে যদি বন্ধ থাকে তবে সিম একটিভ করার পরও একটিভ হিসাবে গন্য করে না যতক্ষণ সামান্য কিছু টাকা রিচার্জ না করেন।
তাই আমার পরামর্শ থাকলো যদি এমন কোন সিম আপনার থেকে থাকে যে বহুদিন বন্ধ রয়েছে তবে সে সিম অবশ্যই চেক করুন ঠিক আছে কি না। আর যদি ঠিক থাকে তবে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করে আবার বন্ধ করে রাখুন তবে আরও ১৫ মাস নো টেনশনে থাকবেন।
আর যদি দেখেন সিম পুরোপুরি সিম টি বন্ধ হয়ে গেছে তবে ঐ সিম যে NID কার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা ছিলো সে কার্ড বা, কার্ডের ফটোকপি নিয়ে ওই নিদ্রিস্ত সিম কম্পানির এর কাস্টোমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন। আর জানুন যে সে সিম মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না। যদি না হয় তবে ঐ সিম টি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করুন তবে কাগজ পত্র ঠিক থাকলে তারা অবশ্যই তুলে দিবে।
আশাকরি আমার এই লেখাটির মাধ্যমে আপনার উপকার হয়েছে। যদি উপকার হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এই আর্টিকেল টি শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের কাছে।
রিলেটেড পোস্ট ঃ
আরও জানতে পারেন ঃ
আজ এ পর্যন্ত পরবর্তী সময়ে জানবো
- সিমের মালিকানা পরিবর্তন
- বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম
- সিম বন্ধ করার নিয়ম
- সিম বাতিল করার নিয়ম
- Gp বন্ধ সিম চেক
- Gp সিম বন্ধ করার নিয়ম
- বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
- গ্রামীণফোন সিমের মালিকানা পরিবর্তন
- রবি সিম বন্ধ হওয়ার কারণ
- এয়ারটেল সিম বন্ধ করার নিয়ম
- নতুন সিম কেনার পর করণীয়সমূহ জানুন
- Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে
- হারানো সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন
- রবি সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো
- সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন
- সিম রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
- সিম রেজিস্ট্রেশন app
- বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
- সিম বন্ধ হওয়ার কারণ
- নিবন্ধিত সিম বন্ধ করার উপায়
- রবি সিম বন্ধ করার নিয়ম
- Gp সিম বন্ধ করার নিয়ম
- সিম রেজিষ্ট্রেশন চেক
- সিম উঠাতে কত টাকা লাগে
- জিপি সিম 4g করার কোড
- সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়
- রবি সিম রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
- সিম কার নামে নিবন্ধন