ওয়াইফাই - ফ্রি ওয়াইফাই - anyupay.com

ওয়াইফাই - ফ্রি ওয়াইফাই

WiFi লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টপোলজির অন্তর্গত। WiFi এর মাধ্যমে আপনি মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে তারবিহীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়াইফাই - ফ্রি ওয়াইফাই
ওয়াইফাই সংযোগ, একটি ঘরে বা তার কম কিছু জায়গা জুড়ে ব্যবহার করা সম্ভব। ওয়াই-ফাই হল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রটোকলের পরিবার। একটি নেটওয়ার্ক টেকনোলজির নাম আপনার কম্পিউটার ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপ , স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট , স্মার্ট টিভি , মুদ্রণযন্ত্র , স্মার্ট স্পিকারস , গাড়ি এবং ড্রন ডিভাইস ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির অন্তর্গত। সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইস একে অপরের তারবিহীন অ্যাক্সেস পয়েন্টের পাশাপাশি ওয়্যারিড ডিভাইস এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে

ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ কি -ওয়াইফাই Wi-Fi কি

Wireless Fidelity Wifi এর পূর্ণরূপ Wifi একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির নেটওয়ার্ক এবং নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করতে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে। আরো সহজ ভাষায়, ওয়াই-ফাই হল  ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিনবা তারবিহীন প্রযুক্তির নাম যা উচ্চ-গতি ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য রেডিও সংকেত ব্যবহার করে

ওয়াইফাই লাইন নিতে কি কি লাগে

ওয়াইফাই (WiFi) চালাতে বা Wi-Fi লাইন নিতে কি কি লাগে এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন পরিস্থিভেদে  বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তবে, আমি মনে করে নিচ্ছি যে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ওয়াইফাই কানেকশন নেওয়ার কথা ভাবছেন।এবং, সেই ক্ষেত্রে আপনার যেসব ডিভাইস লাগবে তা হল
  1. Modem মডেম
  2. Router রাউটার 
  3. Router Adapter
Modem: Modem বলতে  (মড্যুলেটর-ডিম্যুলেটর) হল একটি যন্ত্র যা একটি প্রেরিত এনালগ সংকেত বা তরঙ্গকে ডিজিটাল তথ্যে রূপান্তর করে এবং ডিজিটাল তথ্যকে পাঠানোর সময় এনকোড করে এনালগ সংকেত হিসেবে প্রেরণ করে। এর উদ্দেশ্য হল সহজে সংকেত পাঠানো এবং তা আবার একই রকমভাবে অন্য প্রান্তে পাওয়া। ট্রান্সমিশন বা প্রেরণের অর্থে যেকোন কাজে মডেম ব্যবহার করা যায় রেডিও থেকে ডায়োড পর্যন্ত।

Router: উইকিপিডিয়া বর্ণনা অনুযায়ী রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। রাউটার হচ্ছে একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে ডাটা প্যাকেট তার গন্তব্যে কোন পথে যাবে তা নির্ধারণ করে। ডেটা প্যাকেট হচ্ছে ডেটার ব্লক বা ডেটার সমষ্টি। রাউটার ডেটা প্যাকেটগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূরত্বের পাথ(path) ব্যবহার করে। রাউটার ইন্টারনেটে “ট্রাফিক ডিরেক্টিং” এর কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণভাবে, একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃ নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে একটি ডাটা প্যাকেটকে এক রাউটার থেকে অন্য রাউটারে পাঠানো হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি গন্তব্য নোডে পৌঁছে।

একটি রাউটার বিভিন্ন নেটওয়ার্কের দুই বা তার অধিক ডাটা লাইনের সাথে যুক্ত থাকে। (রাউটারের কাজ নেটওয়ার্ক সুইচের বিপরীত, সুইচ বিভিন্ন ডাটা লাইনকে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত করে)। যখন একটি ডাটা প্যাকেট এই লাইনগুলোর একটিতে পৌঁছে, তখন রাউটার এর চূড়ান্ত গন্তব্য জানার জন্য প্যাকেটের তথ্য পড়ে। এরপর এর রাউটিং টেবিল বা রাউটিং পলিসিতে থাকা তথ্যের সাহায্যে প্যাকেটটিকে তার গন্তব্যের পরবর্তী নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে আন্তঃ নেটওয়ার্কের একটি আস্তরণ তৈরি হয়।

Router Adapter: একটি Adapter আপনার রাউটারে লাগাতে হবে। এই  Adapter, রাউটারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য

My wife উত্তম রাউটার নির্বাচন


এবার My wife উত্তম রাউটার নির্বাচন আসা যাক। বাসার সবাই একসাথে  ডিভাইসে নেট লাইন উপভোগ করার জন্য WiFi এর প্রয়োজন আর ওয়াইফাইয়ের জন্য আপনার চাই একটি ভাল মানের রাউটার।  কারণ রাউটারের মাধ্যমেই আপনার ডিভাইসে ওয়াইফাই আসে আর তাই উত্তম রাউটার কেনা এবং ব্যবহার করা উচিত। বাজারে আপনি ২০০০ থেকে ৮০০০ টাকার  মধ্যে রাউটার পেয়ে যাবেন।তাই বলে কি সবাই .২০০০ টাকার রাউটার ব্যবহার করবেন? অব্যশই নয়। আবার লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বাজারে কোনো রাউটারে ১টি এন্টেনা আবার কোনো রাউটারে ২/৩/৪টি এন্টেনা থাকে। অনেকেরই ভূল ধারণা রয়েছে যে যত বেশি এন্টিনা থাকবে রাউটারটির WiFi সিগন্যাল তত দূর থেকে পাওয়া যাবে তা হলে সেটাও ভুল ধারণা  এন্টেনার উপর আপনার রাউটারের WiFi এর একই সাথে User  স্পিড নির্ভর করে। আপনার বাসায় যদি ১০ থেকে ১২ জন এর উপরে নেট ইউজার থাকে তাহলে আপনার ৪ এন্টেনাওয়ালা রাউটারে যাওয়াই উত্তম তাহলে সবাই ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারবে  স্পিড শেয়ার ভাল হবে 

wifi speed test সঠিক স্থানে রাউটারকে বসান

আপনার বাসার রুমগুলোর অনুপাতে সঠিক স্থানে রাউটারকে বসান যাতে বাসার সবগুলো রুমে রাউটারের সিগন্যাল পাওয়া যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন যে বাসার বাইরের রাস্তার ওপাশ থেকেও রাউটারের ভালো সিগন্যাল পাওয়া যায় কিন্তু বাসার ভেতরের কিছু রুমে রাউটারের খারাপ সিগন্যাল থাকে। এর কারণ হচ্ছে দেয়াল! দেয়ালে রাউটারের সিগন্যালটি বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। আবার যারা উপরের ছাঁদ টিনশেডের তাদের জন্য এই সমস্যাটি হয় না

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড শক্তিশালি WiFi পাসওর্য়াড দিন 

শক্তিশালি এবং সহজেই অনুমান করা যায় না এই রকম একটি WiFi পাসওর্য়াড সেট করুন। আর অবশ্যই অবশ্যই আপনার রাউটার কনফিগার পেজেরও পাসওর্য়াড দিয়ে রাখুন। মানে যে পেজে গিয়ে ওয়াইফাই পাসওর্য়াড সেট করবেন সেটার, এটা সাধারণত ১৬৮.০.০.১ হয় তবে রাউটার ভেদে এই এড্রেসটি ভিন্ন হতে পারে।

কম্পিউটার সহ রাউটারকে নিয়মিত পরিস্কার রাখুন। কম্পিউটার রুমে খাওয়াদাওয়া এবং ধুমপান থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে এসি রুমে কম্পিউটার ব্যবহার করুন। রাউটারের এন্টিনা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করবেন না। আর প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর রাউটার এডমিন পেজের পাসওর্য়াড পরিবর্তন করুন। আর ব্রাউজারকেও নিয়মিত আপডেট দিয়ে নিবেন।

ফ্রি ওয়াইফাই 

সর্বসাধারণের জন্য যে ওয়াইফাই ব্যবহার করা কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্ন কি কখনও জেগেছে আপনার মনে? সর্বসাধারণের জন্য বা পাবলিক ওয়াইফাই বলতে মূলত আমি সেগুলোকে বুঝাচ্ছি যেগুলো ব্যবহার করতে কোন পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হয় না যেমন কফিশপ, মার্কেট, ফাস্ট ফুডের দোকান, ফ্রি ওয়াইফাই জোন ইত্যাদি। পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই ব্যবহার করা খুবই বিপদজনক। এসব অ্যাক্সেস পয়েন্টে হ্যাকাররা আপনার জন্য ফাঁদ পেতে রাখতে পারে। আর সে ফাঁদে পা দিয়ে আপনার ইমেল, ফেসবুকের পাসওয়ার্ড, সেন্সিটিভ ভিডিও, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি খোয়া যেতে পারে। 

Free WiFi কেন ব্যবহার করবেন না

  1. Free WiFi ব্যবহারে গোপন তথ্য চরি হয়ে যেতে পারে। 

  2. হ্যাকাররা সাধারণত ওয়াইফাই রাউটার যেগুলো কিনা কোন ধরনের পাসওয়ার্ড দ্বারা সংরক্ষিত না সেগুলোকে নিজেদের টার্গেটে রাখে। 

খেয়াল করুন আপনার বাসার ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড আছে নাকি? যদি কোন পাসওয়ার্ড দেয়া না থাকে তবে বলা যায় আপনিও পড়ে যেতে পারেন যে কোন হ্যাকার এর ফাঁদে।

পাসওয়ার্ড ছাড়া পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার


আবার ধরুন আপনি পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড ওয়াইফাই ই ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রেও আপনি হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন যদি আপনার রাউটারে কাস্টম ইউজার নেইম আর পাসওয়ার্ড না দেয়া থাকে। তাই বুঝতেই পারছেন রাউটারে ডিফল্ট ইউজার নেইম আর পাসওয়ার্ড ভুলেও রাখা যাবে না। কারন এ ধরণের রাউটারে এক্সেস নিতে হ্যাকারকে কিছুই করতে হয় না। আর যদি কোন হ্যাকার আপনার ওয়াইফাইয়ের সাথে যুক্ত রাউটারটিতে এক্সেস পেয়েই যায় তাহলে সে সব দেখতে পারবে। ইভেন ওয়াইফাইয়ে কি পাসওয়ার্ড দেয়া আছে সেটাও দেখা যাবে। এখন এরকম ওয়াইফাই ব্যবহার করে যদি আপনি ফাইল আদান প্রদান করেন তাহলে ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাকের মাধ্যমে আপনার সর্বোস্ব লুটে নেয়া সম্ভব। এভাবে নিজের অজান্তেই সকল তথ্য তুলে দেবেন অন্যের হাতে।

ওয়াইফাই হ্যাকিং বিভিন্ন ওয়েব সাইট ব্রাউজ

ওয়াইফাই হ্যাকিং হ্যাকারদের কাছে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা খুবই জনপ্রিয়। কারণ আপনার নেট ব্যবহার করে আপনাকেই হুমকির মুখে ফেলে দেয়া যায় এ মাধ্যম ব্যবহার করে। যে সকল ওয়েব সাইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই সে সকল ওয়েব সাইটে যেসকল ভিজিটর ভিজিট করে তাদের সকল তথ্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। তাই SSL সার্টিফাইড না হলে ফ্রি ওয়াইফাই জোনে গিয়ে ভুলেও অনিরাপদ সাইটে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না। ওয়েব সাইটের ওপরে থাকা লেখা https দেখে আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে পারেন যে এটি নিরাপদ বা সিকিউর সাইট।

ওয়াইফাই কিভাবে হ্যাক করে ফেক ওয়াইফাই দ্বারা

অনেক সময় ফেইক হটস্পট তৈরী করা হয় বোকা বানানোর জন্য। আর সেটি দেখতে একদম রিয়েল ওয়াইফাই -গুলোর মতো হয়। যার কারণে আপনি দেখে খুব সহজে বুঝতে পারবেন না যে সেটি আসল নাকি ফেক। ফেইক ওয়াইফাই গুলো এমন ভাবেই সাজানো হয় যে এটি দেখতে ঠিক আপনার ঘরে থাকা ওয়াইফাই এর মত। যার কারণে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল বা ডিভাইস যেটিতে আপনি নেট চালাবেন সেটি কনফিউজড হয়ে পরবে। আর সে যদি ভুল ওয়াইফাই এ কানেক্ট হয়ে পরে তাহলে বলাই যায় যে আপনার জন্য একটি খারাপ সংবাদ আছে। আর সেটি হল আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

যেকল ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করা বিপদজনক নয়

আপনি যে সব ওয়েব সাইট গুলো ব্রাউজ করেন খেয়াল করে দেখবেন সেগুলোতে TSLবা SSL ,অর্থাৎ https:// এমনটা থাকে কিনা। যেমন: anyupay.com google.com,  ইত্যাদি। যা আপনার আর আপনার ব্রাউজ করা ওয়েব সাইটের নিরাপত্তা বজায় রাখে। জনপ্রিয় সকল ওয়েব সাইটে এমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা সাধারণত থাকেই।

উপরি উল্লিখিত আর্টিকেল টি পরার পর   হয়ত আপনি ভাববেন যে, এখন কি করা উচিত, পাবলিক ওয়াইফাই চালাবো কি না। তাহলে আমি বলব না চালানোটাই ভালো। তবুও যদি কখনও দরকার হয় তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ আপনার তথ্য আপনার কাছে মূল্যবান। সেটাকে যতটা সম্ভব নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন।

রিলেটেড পোস্ট ঃ 

আজ এপর্যন্ত পরবর্তী কোন এক সময় জানা যাবে 

  • ওয়াইফাই মেশিন এর দাম কত
  • ল্যাপটপে ওয়াইফাই চালু করার নিয়ম
  • ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করার নিয়ম
  • ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক
  • ওয়াইফাই হ্যাক করে কিভাবে
  • ওয়াইফাই হ্যাক করার সফটওয়্যার
  • ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বের করার সফটওয়্যার
  • ওয়াইফাই স্পিড চেক
  • ওয়াইফাই ব্লক ছাড়ানোর উপায়




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url